Nandakumar: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, খুন শাশুড়ি-বৌমা
Nandakumar: বোরগোদা গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ দাস, খোকন দাস, ননি গোপাল দাস, কিশোরী দাস চার ভাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল চলছিল।

পূর্ব মেদিনীপুর: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হল একই পরিবারের শাশুড়ি, বৌমা। আহত অবস্থায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শ্বশুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার নন্দকুমার থানার বোরগোদা গ্রামে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মিনু দাস(৬২) এবং সুপ্রিয়া দাস(২৪)।
বোরগোদা গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ দাস, খোকন দাস, ননি গোপাল দাস, কিশোরী দাস চার ভাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল চলছিল। রবিবার দুপুরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে গোলমাল চরম পর্যায়ে পৌঁছয় । রবিবার রাত দশটা নাগাদ আবারও গোলমাল সৃষ্টি হয় চার ভাইয়ের মধ্যে। বচসা থেকে শুরু হয় মারপিট।
সেই মারপিটের জেরে প্রাণ হারায় খোকন দাসের স্ত্রী মিনু এবং বৌমা সুপ্রিয়া। তমলুক হাসপাতালে শশুর গুরুপদ ওরফে খোকন দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকা থেকে নন্দকুমার থানার পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃতের পরিবারের আত্মীয়দের অভিযোগ, বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে এসে এই হামলা করেছে কাকা ও তার ছেলে মেয়ে জামাইরা। আরও জানা যায়, সুভাষ দাস লোহার রড, কাঁচি ও কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করে গুরুপদ ও তার স্ত্রী মিনু এবং বৌমা সুপ্রিয়া, ছেলে পূর্ণেন্দুর ওপর। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুপ্রিয়া দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় মিনু দাসের, এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে গুরুপদ দাস। ঘটনায় নন্দকুমার থানার পুলিশ শ্রীনিবাস দাস ও ঋষিকেশ দাসকে আটক করে। এখনও পর্যন্ত সুভাষ দাস সহ তাঁর পরিবারের লোকেরা পলাতক রয়েছেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

