পূর্ব মেদিনীপুর: কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! যুগ-যুগ ধরে চলে আসে সেই প্রবাদ বাক্য আজ যেন সত্যি হল। রসলপুর নদী মোহনায় ভয়াবহ ট্রলার ডুবির ঘটনায় অবশেষে মাঝিকে উদ্ধার করল পুলিশ।
শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ খেজুরির দক্ষিণ কলাগেছিয়াতে সাঁতার কেটে পাড়ে উঠলেন তিনি। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করে খেজুরি শিলাবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকেরা সনাক্ত করেন। উদ্ধার হওয়ার মাঝির নাম শেখ ইকবাল। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলার সাগর এলাকায়।
যদিও, আরও এক মৎস্যজীবীর দেহ সমুদ্রে ভাসছে বলে সূত্রের খবর। আবহাওয়া খারাপ জন্য সমুদ্র উত্তাল। দেহ ভাসলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। শনিবার বিকেলে ট্রলারের করে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন ইরানি, বিডিও শুভজিৎ জানা সহ আধিকারিকরা। যদিও এখনও পর্ষন্ত বাকি ৫ জন মৎস্যজীবীর কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরিদর্শনের পর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘ট্রলারের বারোজনের মধ্যে শুক্রবার পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। শনিবার বিকেলে ট্রলারের মাঝিকে উদ্ধার হয়েছে। খেজুরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে তমলুক পাঠানো হবে। প্রত্যেকের ব্লক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নজরদারি করার জন্য। ছোটো নৌকা করে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বর্তমানে বোটটির কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি উদ্ধার করার। ইতিমধ্যে ডুবরিও নামানো হয়েছে।’