দিঘা: জমিয়ে চলছিল মদের আসর। সেই আসরে মদ্যপ অবস্থায় দুই হোটেলের কর্মচারীর মারামারি। ঘটনায় মৃত্যু এক হোটেল কর্মীর। এই ঘটনায় শোরগোল পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহর দিঘায়। রবিবার গভীর রাতে পাশাপাশি দুটি হোটেলের কর্মচারীর এই বিবাদের সূত্রপাত হয় মদ খাওয়া নিয়ে। রবিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে মদের আসর। সেখানে আচমকা দুই কর্মচারীর মধ্যে বিবাদ বাধে। এরপর শুরু হয় মারামারি। বেধড়ক মারে মৃত্যু হয় এক হোটেল কর্মচারীর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই হোটেল কর্মচারীর নাম বিশ্বজিৎ দে(২৭)। তাঁর বাড়ি কাঁথি থানার বেলতলায়। সোমবার সকালে এই ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায়। পরে স্থানীয় দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ খবর পেয়ে হোটেল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্ত কালীপদ সামন্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরও বাড়ি কাঁথি থানার দক্ষিণ পোতাপুকুরিয়া এলাকায়। দুজন ওল্ড দিঘার বন বাংলো সংলগ্ন পৃথক দুটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।
কী কারণে বচসা বাধে দুই কর্মচারীর, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। রবিবার গভীর রাতে মারধরের পর প্রথমে অজ্ঞান হয়ে যান বিশ্বজিৎ। এরপর স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মৃত হোটেল কর্মীর জেঠতুতো দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
দিঘা কোস্টাল থানার ওসি অরুণ কুমার পতি জানান, “দুই হোটেল কর্মচারীর মধ্যে মদ খেয়ে বচসা বাধে। তা থেকে মারামারি। প্রবল মারামারিতে এই মৃত্যু হয়েছে। এই খুনের প্রকৃত কারণ কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”