Purba medinipur death: ‘SIR আতঙ্ক’, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হতেই বড় দাবি পরিবারের

Purba Medinipur: ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর। সেখানেই রামনগর ১ব্লকের কাঁটাবনি গ্রামে বসবাস করতেন শেখ সিরাজউদ্দিন। তাঁর পূর্ব পুরুষরা কেউ বাংলাদেশ বা অন্য কোনও জায়গা থেকে আসেননি বলেই দাবি এলাকাবাসীর। বহুদিন বিদেশেও ছিলেন। বর্তমানে দেশে ফিরে দিঘায় একটি হোটেলও করেছেন।

Purba medinipur death: SIR আতঙ্ক, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হতেই বড় দাবি পরিবারের
মৃত্যু ব্যক্তিরImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 04, 2025 | 12:36 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: আবারও মৃত্যু এ রাজ্যে। এসআইআর আতঙ্কের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির বলে দাবি পরিবারের। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু। SIR নিয়ে মানুষ ভুল বুঝছে এর  সরলীকরণের প্রয়োজন আছে দাবি বিজেপির। তবে মৃত্যুর ঘটনার পরই তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রামবাসী সহ আত্মীয়দের।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর। সেখানেই রামনগর ১ব্লকের কাঁটাবনি গ্রামে বসবাস করতেন শেখ সিরাজউদ্দিন। তাঁর পূর্ব পুরুষরা কেউ বাংলাদেশ বা অন্য কোনও জায়গা থেকে আসেননি বলেই দাবি এলাকাবাসীর। বহুদিন বিদেশেও ছিলেন। বর্তমানে দেশে ফিরে দিঘায় একটি হোটেলও করেছেন।

এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার কাজগপত্র বের করতে গিয়ে বাবার নাম ভুল দেখেন।তারপর থেকেই বেশ চিন্তায় ছিলেন বলে জানা গেছে পরিবারের তরফে। আর সেই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। গতকাল সন্ধেয় নাগাদ অসুস্থ হন তিনি। সিরাজবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় সৈকত শহর দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের  পরিবারে ছয় মেয়ে ও দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে বলে খবর।

রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “উনি সুস্থই ছিলেন। সকলের সঙ্গে কথাই বলেছেন। তবে সকাল নাগাদ মারা যান। বাকিটা পাড়ার লোকজন বলবে।” মৃতের মামা শেখ আবু বক্কর আলি বলেন, “উনি আমার ভাগ্না। কালকে বলেছিল আমায় মামা  আমার বাবার নামটা এমন হয়েছে। এক জায়গায় শেখ অন্য জায়গায় আবদুল হয়েছে। এটা তো ঠিক করতে হবে। এই টুকুই কথা হয়েছিল। বারবার প্রশ্ন করছিল এখন তাহলে কী হবে? এরপর বাবার সব ডকুমেন্ট চাইলেন। আমার মনে হয় ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় SIR নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা শুনেই আতঙ্কিত হয়েছে।
” সহ সভাপতি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি অসীম মিশ্র বলেন, “এই আতঙ্কে মৃত্যু হয়নি। আসলে আতঙ্কিত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ওরাই একমাত্র যাঁরা এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।” উল্লেখ্য, এসআইআর আতঙ্কে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনা নিয়ে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।