Purba Medinipur: এবার মৃত্যু TMC প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের, অভিযোগ SIR আতঙ্ক

BLO: পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি এসআইআর-এর ফর্ম এলে সুষমারানির নামের সঙ্গে কিউআর কোড মিলছিল না। এই কারিগরি বিভ্রাট তাঁকে গভীরভাবে আতঙ্কিত করে তোলে বলে খবর। এরপর তিনি চরম মানসিক উদ্বেগে ভুগতে শুরু করেন।

Purba Medinipur: এবার মৃত্যু TMC প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের, অভিযোগ SIR আতঙ্ক
এসআইআর আতঙ্কImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 25, 2025 | 5:32 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে একাধিক বিএলও (BLO)-র মৃত্যুর খবর আগেই এসেছিল। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, অত্যাধিক কাজের চাপের জন্যই মৃত্যু হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই এবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর ফর্ম সংক্রান্ত জটিলতার জন্য প্রবল মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি এসআইআর-এর ফর্ম এলে সুষমারানির নামের সঙ্গে কিউআর কোড মিলছিল না। এই কারিগরি বিভ্রাট তাঁকে গভীরভাবে আতঙ্কিত করে তোলে বলে খবর। এরপর তিনি চরম মানসিক উদ্বেগে ভুগতে শুরু করেন। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, এই কিউআর কোড সংক্রান্ত সমস্যা এবং নাম বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরেই তিনি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন।

মৃতার স্বামী প্রসূণ মণ্ডল বলেন, “আমরা ফর্ম জমা দেওয়ার পর যখন বিএলও তাঁকে ডেকে জানান যে নাম কিছুতেই মিলছে না, তখন আমরা একাধিকবার চেষ্টা করি সমস্যা মেটানোর। আমি এবং আমার স্ত্রী, দুজনেই বিএলও-এর বাড়িতে গিয়েও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম।” নিহতের স্বামী আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তাঁর স্ত্রী আতঙ্কে ভুগছিলেন। সুষমাদেবী নাকি বলেছিলেন,”আমি দু’বারের মেম্বার থাকলাম কিন্তু আমার নামটা থাকবে না এটা কিরকম হয়? এটা কেমন ধরনের এসআইআর হচ্ছে?” শেষ পর্যন্ত, তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছেও যান।

মৃতের স্বামী জানান, প্রধান তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, যেহেতু সুষমারানি মণ্ডলের নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে, তাই সমস্যা মিটে যাবে এবং ভয়ের কোনও কারণ নেই। কিন্তু সকলের আশ্বাসের পরেও সুষমারানি এসআইআর সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে পারেননি। তাঁর স্বামী অভিযোগ করেন, সম্ভবত সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পূর্ব আমতলিয়া কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লক থেকে নিয়ে আসে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সাধারণ সম্পাদক কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল তরুণ জানা বলেন, “দশ বছর পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। উনি খুব কাজের। ইদানিং মিসম্যাচ হতেই খুব চিন্তিত ছিলেন। কেউ কেউ বলেছেন তোমায় বাংলাদেশ চলে যেতে হবে। এই সব ভয়ে হঠাৎ স্ট্রোক হয়ে মারা যান।” সহ সভাপতি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূল যে কোনও মৃত্যু হলেই বলছে এসআইআর এ মারা যাচ্ছে। যে কোনও স্বাভাবিক মৃত্যুকে এসআইআর আতঙ্ক বলেই চালিয়ে যাচ্ছে।”