ময়না: আরজি কর আবহের মধ্যে এবার আরও একটি নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহটি। বস্তুত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ। সেই ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এমন আবহের মধ্যেই এবার জেলার এক নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ।
মৃতের নাম সাহেব দাস। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের বাকচা এলাকায়। জানা গিয়েছে,ওই যুবক নার্সিংহোমেই বিগত প্রায় সাত বছর ধরে কর্মরত ছিলেন ওটি কর্মী হিসেবে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কাজে আসেননি সাহেব। তবে রাত্রিবেলা হঠাৎ নার্সিংহোমে আসেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সরাসরি ঢুকে যান ওটি রুমে। তারপর তাঁকে আর কেউ দেখেনি। রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ওটি চলেছিল। তারপরেই ওটি রুমে প্রবেশ করে ওই যুবক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্ভবত ভোরের দিকেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন সাহেব দাস।
পরিবারের লোক জানিয়েছে, প্রেম ঘটিত সম্পর্কে বিচ্ছেদের কারণেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন সাহেব বলেই অনুমান। সকালে বাবা-মার সামনেই দেহ উদ্ধার হয়। দেহ্ উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাহেবের বাবা বলেন, “মৃতের আমি দোকানে কাজ করছিলাম। তারপর শুনি সাহেব নাকি গলায় ফাঁস লাগিয়েছে। এলাকার লোকজনই খবর দিল। এর থেকে বেশি কিছু জানি না।”