
পাঁশকুড়া: আপাতত জেলে রয়েছেন পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তবে তিনি গ্রেফতার হতেই একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই সব অভিযোগ কার্যত বিস্ফোরক। তাঁর অধীনে কর্মরত এক মহিলা জানালেন, গর্ভধারণ করতে গেলেও নিতে হত অভিযুক্তের অনুমতি। হাসপাতালের অলিখিত বস ছিলেন। অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই হাসপাতালে ফিরতে চাইছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। বস্তুত, পাঁশকুড়ায় এক স্বাস্থ্য কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরই। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। এখন তিনি জেলে যেতেই একের পর এক অভিযোগ।
পাঁশকুড়া-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে বরাতপ্রাপ্ত ওই সংস্থাকে। তবে অভিযুক্ত জেলে যেতেই ধীরে-ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সকলে। এক কথায় হাসপাতালের অলিখিত সুপার হয়ে বসেছিলেন অভিযুক্ত। হাসপাতালের ১৩৩ জন অস্থায়ী কর্মীর ‘বস’ ছিলেন অভিযুক্ত, বলছেন সেখানে উপস্থিত সকলে।
সংস্থার কর্মীদের অনেকেই বলছেন, তাঁর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতেন হাসপাতালের বাকি কর্মীরা। কাজ পছন্দ না হলেই শারীরিক মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনকী, ছেঁটে ফেলার কথাও বলতেন অভিযুক্ত। এরকম ভাবেই ১০ জন কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছিলেন অভিযুক্ত বলে দাবি কর্মীদের।
টুম্পা হাঁসদা নামে এক কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্মলগ্ন থেকেই কর্মরত ছিলেন। অসুস্থ হয়ে ছুটি নেওয়ার অপরাধে তাঁর ‘লিভ অ্যাপ্লিকেশন’ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। এমনকী তিনি গর্ভধারণ করলেও নাকি তাঁর পারমিশন নিতে হবে বলে দাবি করেন ওই মহিলা। এহেন অভিযুক্তের জেল যাত্রার পর কাজে ফিরতে চাইছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। টুম্পা বলেন, “একদম জন্মলগ্ন থেকে আমি এই হাসপাতালে কাজ করতাম। আমায় একদিন বলল আমার পোস্টে লোক নিয়ে নিয়েছে। অসুস্থতার ডিউডি করতে পারিনি। সেই কারণে আমায় তাড়িয়ে দেয়। এমনকী, আমায় এও প্রশ্ন করেছিল সকলের সামনে, আমি কাকে বলে সন্তান নিয়েছি? মানে ওঁর অনুমতি নিইনি কেন সেইটাই বলতে চেয়েছে।”