Digha: দিঘায় জগন্নাথ দেবকে দেখতে এসেছিলেন, সারা জীবনের জন্য হাড়হিম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন ২৩ পর্যটক

গ্রামীণ কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, "ঘটনাটি জানার পরই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। জোনাল ডিএসপি-র (ডিএনটি) তত্ত্বাবধানে স্থানীয় নুলিয়া ও বোট মালিকদের সহযোগিতায় পুলিশের নিজস্ব বোট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লঞ্চের মাঝি-সহ মোট ২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।

Digha: দিঘায় জগন্নাথ দেবকে দেখতে এসেছিলেন, সারা জীবনের জন্য হাড়হিম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন ২৩ পর্যটক
দিঘা জগন্নাথ ধামImage Credit source: Facebook

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 27, 2025 | 9:59 PM

দিঘা: জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের পরই মন্দির দর্শনে প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষের ভিড় হয় দিঘায়। আগে সমুদ্র সৈকত ছিল আকর্ষণের কেন্দ্র। তবে এখন উপরি পাওনা জগন্নাথ মন্দির ও তার দর্শন। তবে জগন্নাথ দেবের দর্শনে এসে সারা জীবনের জন্য ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন ২৩ জন যাত্রী। বড়সড় বিপদের পড়লেন তাঁরা। মাঝ সমুদ্রেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিল লঞ্চে। প্রাণ সংশয় হওয়ার জোগাড় প্রায় তেইশ জন পর্যটকের। পরে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, ওই সকল যাত্রীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে লঞ্চে করে জগন্নাথ ধাম দর্শনে এসেছিলেন। শনিবার রাতে দিঘা মোহনা থেকে মিনিট তিরিশেক দূরে থাকাকালীন হঠাৎই লঞ্চটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উত্তাল সমুদ্রের মাঝে লঞ্চটি ভাসতে থাকায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। চরম আতঙ্কে ভোগেন তাঁরা। উপায় না দেখে যাত্রীরা দ্রুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ‘হেল্ফ লাইন’ নম্বরে যোগাযোগ করে সাহায্যের আবেদন জানান। খবর পাওয়া মাত্রই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

গ্রামীণ কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, “ঘটনাটি জানার পরই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। জোনাল ডিএসপি-র (ডিএনটি) তত্ত্বাবধানে স্থানীয় নুলিয়া ও বোট মালিকদের সহযোগিতায় পুলিশের নিজস্ব বোট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লঞ্চের মাঝি-সহ মোট ২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা সকলেই সুস্থ ও সুরক্ষিত আছেন।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোস্টাল সিকিউরিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জোয়ার এলে বড় বোট পাঠিয়ে বিকল লঞ্চটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে।