পূর্ব মেদিনীপুর: পাশে স্বামীকে নিয়ে শুয়েছিলেন স্ত্রী। আচমকাই ভোর রাতে চিৎকার স্ত্রী-র। প্রতিবেশীরা হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢোকে। দেখেন বীভৎস ঘটনা! পাশেই পড়ে রয়েছেন স্বামীর রক্তমাখা শরীর। আর পাশে বসে হাউ হাউ করে কাঁদছেন স্ত্রী! চিৎকার করে বলতে থাকেন,’ ওরা মেরে চলে গেল…’ কিন্তু কারা? সেটার আর ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারছিলেন না। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। কথায় একাধিক অসঙ্গতি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় আটক করা হয়েছে ওই মহিলা ও তাঁর মাকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের আগে একটা বিয়ে ছিল। কয়েক বছর আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় তাঁর। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অন্য এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁর সঙ্গেই থাকা শুরু করেন।
মঙ্গলবার ভোরে সেই ঘর থেকেই চিৎকার, গোঙানির শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। সেই শুনে ঘরে ঢুকে তাঁরা ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বাড়ির পাশেই চলছিল একটি মেলা। রাতেই ওই যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মেলা চলায় চিৎকার শোনা যায়নি। কিন্তু স্ত্রীর দাবি, বাড়িতে অন্য লোক ঢুকে গলা কেটে খুন করেছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের সন্দেহ, এই ঘটনায় ওই যুবকের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী জড়িত। পুলিশ ওই মহিলা ও তাঁর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এলাকায় চাঞ্চল্য। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।