Digha: চরম বিড়ম্বনায় দিঘার বাসিন্দারা, প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে, চলাফেরাই করা যাচ্ছে না! কারণটা কী

Digha: ভগীব্রহ্মপুর, বিলআমোড়িয়া সহ মন্দির লাগোয়া স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের যানবাহন নিয়ে সংশ্লিষ্ট পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। জগন্নাথ ধাম লাগোয়া এই রাস্তা নিয়ে খুবই বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।

Digha: চরম বিড়ম্বনায় দিঘার বাসিন্দারা, প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে, চলাফেরাই করা যাচ্ছে না! কারণটা কী
ফাইল ছবিImage Credit source: PTI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 15, 2025 | 8:53 PM

দিঘা: গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত ক্রমশ ভক্ত ও দর্শণার্থীদের ভিড় বাড়ছে দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে। একটানা ছুটিতে সৈকত শহরে আছড়ে পড়ল জনজোয়ার। গত শুক্রবার থেকে পরপর চারদিন ছুটি ছিল। সেই ছুটির শেষে গত সোমবারও লক্ষাধিক পর্যটক দিঘায় ছিলেন।

লাগাতার এই ভিড়ে জন্য নাকাল হচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। ভিড়ের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ও দর্শক তথা ভক্তদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দক্ষিণ দিকে ১১৬ বি জাতীয় সড়কের ওপর থাকা মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে খুলে দেওয়া হয়েছে পূর্ব দিকের প্রবেশ পথ। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের কাজে বেরতে হচ্ছে ঘুরপথে।

মন্দিরে ভিড় থাকার কারণে পূর্ব দিকের রাস্তা দিয়ে সাইকেল, গাড়ি, টোটো, অটোর প্রবেশ বন্ধ থাকছে। ফলে নাকাল হতে হচ্ছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, ভগীব্রহ্মপুর, বিলআমোড়িয়া সহ মন্দির লাগোয়া স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের যানবাহন নিয়ে সংশ্লিষ্ট পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। জগন্নাথ ধাম লাগোয়া এই রাস্তা নিয়ে খুবই বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং দিঘার আদি জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টির সম্পাদক বসন্তকুমার জানা বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ছুটির মধ্যে ভিড় বাড়ছে। এর ফলে আমাদের গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তা, সেটা দিয়ে আমরা বাসিন্দারা যাতায়াত করতে পারছি না। ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। খুবই অসুবিধা হচ্ছে।’ একই কথা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ মাইতিও। তিনি বলেন, “এখানে যে স্থাপত্য তৈরি হয়েছে তার টানে প্রতিদিনই মানুষের লম্বা লাইন পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মন্দিরের পূর্ব দিকের রাস্তা খোলা রাখা হচ্ছে। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে আমরা গ্রামের লোকজন চলাফেরা করতে পারছি না। অসুবিধা হচ্ছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে বিষয়টিতে নজর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্ব বিশ্বাস এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। রামনগর ১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ বলেন, “স্থানীয় মানুষের অসুবিধার কথা আমার জানা নেই। সমস্যা হলে বিকল্প ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”