Car in Khejuri: হঠাৎ রাস্তার মাঝে সন্দেহজনক নীল-বাতি গাড়ি, মাঝরাতে কীসের শুটিং? প্রশ্ন বাসিন্দাদের

Unknown Car: আয়কর দফতরের কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁরা এই লোগো ব্যবহার করছেন। তাঁরা আরও জানান, তাঁদের নাকি কোনও এক সিনেমার শুটিং চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, রাত আড়াইটার সময় কোন সিনেমার শুটিং চলছে?

Car in Khejuri: হঠাৎ রাস্তার মাঝে সন্দেহজনক নীল-বাতি গাড়ি, মাঝরাতে কীসের শুটিং? প্রশ্ন বাসিন্দাদের
এই সেই গাড়িImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 14, 2025 | 11:47 AM

খেজুরি: গাড়িতে লাগানো ইনকাম ট্যাক্স দফতরের লোগো। লাগানো রয়েছে বোর্ড ও নীল বাতিও। সেই গাড়ি নিয়েই খেজুরিতে ঘোরাফেরা করছিলেন এক ব্যক্তি। প্রশ্ন করতেই জানা গেল, তিনি নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ভাড়া করে এনেছেন। প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া কীভাবে এমন দেদার ব্যবহার ওই গাড়ির, তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালে গাড়ির নীল আলো বন্ধ করে ভুল স্বীকার বহিরাগতদের।

খেজুরি বিধানসভা এলাকার হেড়িয়া বাজার সংলগ্ন তল্লা ব্রিজের কাছে রবিবার ভোররাতে হঠাৎই দেখা যায়, নীল আলো জ্বেলে দাঁড়িয়ে আছে আয়কর দফতরের একটি গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা এগিয়ে গিয়ে গাড়িতে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রশ্ন করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধমক দেন তাঁরা। পরে জানান, সরকারি দফতরের শুটিং চলছে।

এত প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে কেন শুটিং করতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে তাঁরা জানান, আয়কর দফতরের কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁরা এই লোগো ব্যবহার করছেন। তাঁরা আরও জানান, তাঁদের নাকি কোনও এক সিনেমার শুটিং চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, রাত আড়াইটার সময় কোন সিনেমার শুটিং চলছে? পুলিশের পোশাক পরে এরকম একটা জনবহুল রাস্তায় দাঁড়িয়ে সরকারি লোগো ব্যবহার করে কোনও সরকারি অনুমোদন ছাড়া কীভাবে হচ্ছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে।

তেঁতুলতলা দিক থেকে খেজুরির বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে বাড়ি ফেরার পথে ব্লু আলো এবং ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেঙ্গল শিল্পী ফেরারেশন ইউনিটে রাজ্য সভাপতি তাঁদেরকে প্রশ্ন করেন, এখানে তাঁরা কী করছেন? তার উত্তরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা শুটিং করার কথা জানান। তাঁদের কোনও সরকারি অথরাইজেশন লেটার আছে কি না, তা জানতে চাইলে তাঁরা কোনও অথরাইজেশন লেটার দেখাতে পারেননি। পরে অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যান তাঁরা।