Purbo Medinipur: ‘মোবাইল চেয়েছিল, দিয়েছিলাম, লুকিয়ে গেম খেলত জানতাম, ভাবতাম পড়ার ফাঁকে রিফ্রেশমেন্ট, কিন্তু তা বলে..’ বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রের অবস্থায় থ্ গোটা গ্রাম

Purbo Medinipur: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  অর্ঘ্য খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। কয়েক মাস আগে বাবা মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য বায়না ধরে অর্ঘ্য। একটি দামী মোবাইলও কিনে দেন বাবা। তারপরেই অর্ঘ্য অনলাইনে মোবাইলে ফ্রি- ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে বলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে। মোবাইল কিনে দেওয়ার পর তেমনি পড়াশোনায় মন দিচ্ছিল না সে।

Purbo Medinipur: মোবাইল চেয়েছিল, দিয়েছিলাম, লুকিয়ে গেম খেলত জানতাম, ভাবতাম পড়ার ফাঁকে রিফ্রেশমেন্ট, কিন্তু তা বলে.. বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রের অবস্থায় থ্ গোটা গ্রাম
ছাত্রের পরিণতিতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রামImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 09, 2024 | 3:16 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: প্রথমে মোবাইল কেনার বায়না। এক মাত্র ছেলের বায়না মেনে নিয়েছিলেন বাবা-মা। এরপর মোবাইলে ফ্রি অনলাইন গেম অ্যাপ ডাউনলোড। সারাক্ষণ সেই গেমেই আসক্তি। পড়াশোনার মন বসছিল না ছেলের। এরপর ধীরে ধীরে সেই আসক্তি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। গেম কেনার জন্য টাকা দাবি করতে থাকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু তা মেনে নেননি বাবা-মা। পরিণতি ভয়ঙ্কর।  অনলাইনে মোবাইলের গেম আসক্ত হয়ে টাকা জোগাড় করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ছাত্র অর্ঘ্য ভট্টাচার্য (১৮)। অর্ঘ্য কাঁথি মডেল ইনস্টিটিউশনে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  অর্ঘ্য খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। কয়েক মাস আগে বাবা মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য বায়না ধরে অর্ঘ্য। একটি দামী মোবাইলও কিনে দেন বাবা। তারপরেই অর্ঘ্য অনলাইনে মোবাইলে ফ্রি- ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে বলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে। মোবাইল কিনে দেওয়ার পর তেমনি পড়াশোনায় মন দিচ্ছিল না সে। এরপর ধীরে ধীরে ‘ফ্রি গেম’ আর ‘ফ্রি’ থাকে না। টাকা দাবি করতে থাকে। অর্ঘ্য বাবা-র কাছে টাকা চাইতে শুরু করে। কিন্তু বিষয়টা বুঝতে পেরে বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন।

গত দুদিন ধরে বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁথি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

কাঁথি পুরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতনু গিরি ফোনে জানান, ” অনলাইনে মোবাইলে গেম খেলার জন্য এমনই পরিণতি। শুধু অর্ঘ্য নয় বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবরা অনলাইনে গেমে আসক্ত হয়েছে। এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে বলেই মনে হয়।” ছাত্রের বাবা বলেন, “ফোনটা চেয়েছিল, দিয়েছিলাম। ভাবিনি এমন হবে। ওদের স্কুলের অনেকেরই ফোন রয়েছে, বায়না করত তাই। ফ্রি তে গেম খেলত, সেটাও জানতাম। ভাবতাম বাচ্চা ছেলে খেলছে, পড়ার ফাঁকে। কিন্তু তা বলে এমন হয়ে যাবে, ভাবতেও পারছি না।”