পূর্ব মেদিনীপুর: মহিষাদলে বিডিও অফিস চত্বরে থাকা চায়ের দোকানদারের ১৪ হাজারের বিলের অনাদায়ে অভিযোগ গেল মুখ্যমন্ত্রী দফতরে। ফোন গেল ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে। পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। দোকানদার নন্দলাল মাইতি বললেন, “ফোন করলাম। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন বিধানসভা, পঞ্চায়েতের নাম বললাম। আমি বললাম সব কথা। বিডিও আমাকে বলেছেন, যে অর্ডার দিয়েছেন, তিনি পয়সা দেবেন। আমি গরিব মানুষ। এতগুলো টাকা বাকি।”
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে চায়ের দোকানে ১৪ হাজার টাকা বকেয়া রাখার অভিযোগ। দোকানদার টাকা চাইতে গেলে বিডিও দোকানের দলিল দেখাতে বলেন বলে অভিযোগ। দোকানদারের দাবি, বিডিও নাকি বলেছিলেন, দলিল দেখালেই নাকি মিলবে টাকা। বকেয়া বিল পেতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সেই টাকা মেলেনি। আর এতগুলো টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এই প্রৌড় চা-ওয়ালা।
চা বিক্রেতা নন্দ মাইতির বক্তব্য, বিডিও অফিসের ক্যান্টিন রয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস আগে ক্যান্টিনের মালিক অসুস্থ হয়ে যান। তারপর বিডিও-ই তাঁকে বলেছিলেন, ক্যান্টিন বন্ধ, তিনি যেন তাঁর দোকানে খাবার রাখেন, অফিসে চা-কফি দেন। পরে আবার ক্যান্টিন খোলে। তখন চা বিক্রেতা বকেয়া বিলগুলো জমা করেন।
চাবিক্রেতার বক্তব্য, তখনই টাকা দিতে অস্বীকার করেন বিডিও। তিনি বলেন, “বিডিও আমাকে প্রশ্ন করছেন, কফি কীভাবে ২০ টাকা করে হয়। আমি বললাম, ৭০ টাকা করে তো দুধই কিনি। কফি ২০ টাকারই হয়। আমার কাছে তখন দোকানের কাগজপত্র দেখতে চাইলেন। আমি তাও দেখলাম। তারপর আমার মেয়ে যায়। মেয়েকে বলেন, জায়গার দলিল দেখাও। দলিল কোথাও পাব, এটা তো সেচ দফতরের জায়গা। তারপর বললেন, দলিল না হলে টাকা দেব না।”
যদিও বিডিও বরুনাশিস সরকারের দাবি, “আমি আসার আগে এই ঘটনা ঘটেছে। ওঁ যে অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন।ওঁ যে পরিমাণ টাকা বকেয়া বলছেন আদতে তা নয়। আর যেহেতু সরকারিভাবে, সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন তাদের যেহেতু তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে, তাই ওঁকে দোকানের জায়গার কী কাগজ আছে তা আনতে বলা হয়েছে। যে টাকা বলছেন, ওত টাকা বাকি নেই। খুব বড় জোর চার হাজার টাকা মতো বাকি রয়েছে। ওঁ সব জিনিসেরই দাম বাড়িয়ে লিখেছে।” শেষমেশ ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেই অভিযোগ জানালেন চা বিক্রেতা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বলেছেন, “আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিডিও-র সঙ্গে কথা বলছি। “