পূর্ব মেদিনীপুর: স্ত্রী-র সঙ্গে নিত্য অশান্তি। বন্দুক জোগাড় করে ‘গুলি ছুড়েছিলেন’ স্বামী। ডান হাত ফুঁড়ে গিয়েছিল বুলেট! ডান হাতের কনুই ফুঁড়ে আরও অনেকটা ওপরের দিকে আটকে ছিল গুলি। শুক্রবার রাতে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর হাতের অস্ত্রোপচার হয়। সেখানে অর্থোপেডিক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শিবশঙ্কর দে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করেন। শনিবার মেডিক্যাল টিম গঠন করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় ওটিতে। ঘণ্টাখানেক জটিল অস্ত্রোপচারের পর বের করা সম্ভব হয় ওই গুলি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন যমুনা দলপতি।
অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শিবশঙ্কর দে বলেন, “কনুইয়ের সামনের অংশ দিয়ে গুলিটা ঢুকলেও বেরিয়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন ছিল না। তা দেখেই আমরা নিশ্চিত হই যে গুলিটা ভিতরে আটকে রয়েছে। এক্স- রে রিপোর্ট করার পর ধারণা পরিষ্কার হয়ে যায়। গুলিটা বের করা খুব জরুরি ছিল। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।” ১৫ দিনের মধ্যেই যমুনা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তিনি।
যমুনার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারের কারণেই উত্তর বরোজ গ্রামের শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পাঁউশি গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন যমুনা দলপতি। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী দীপঙ্কর গিয়ে হাজির হয় সেখানে। যমুনাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন তিনি। রাজি না হলে যমুনার হাত ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দীপঙ্কর। হাত ছেড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন যুমনা।
অভিযোগ, ঠিক সেই সময়েই পকেটে থাকা বন্দুক বের করে যমুনার ওপর গুলি চালান দীপঙ্কর। যমুনার ডান হাতের কনুইয়ের অংশে গুলি লাগে। ঘটনার পর ওই রাতে মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে অনুভব করেন ডান হাতের কনুইয়ের ওপর কিছু একটা গেঁথে আছে। এরপর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন পরিবারের লোকজন। জানা দিয়েছে,ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।