
পূর্ব মেদিনীপুর: সাত বছরের নাবালিকাকে চিপস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে এক দোকানদার গোপনাঙ্গে হাত দেয়। সেই ঘটনা হলদিয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই দোকানদারের নাম সঞ্জীব দাস। নাবালিকাকে দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে সঞ্জীবকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া পকসো আদালত। শুক্রবার হলদিয়া পকসো আদালতের বিচারক অঞ্জন কুমার সরকার দোষীর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার সাজা ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। নাবালিকার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই দোষীর একটি দোকান ছিল। সেখানে সন্ধ্যায় নাবালিকাকে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। এরপর কোনক্রমে বাড়ি চলে আসে ওই নাবালিকা। পরিবারের লোকজনদের গোটা ঘটনার কথা খুলে বললে পরিবারের তরফ থেকে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করে। সেই মামলায় শুক্রবার হলদিয়া পকসো আদালত সাজা ঘোষণা করে। ৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই সাজা বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী অরবিন্দ মাইতি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণে খুনের রায় দেয় বারুইপুর পকসো আদালত। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা । তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত মুস্তাকিনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। বাকি একটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় পকসো আদালত।