
পূর্ব মেদিনীপুর: পণের দাবিতে স্ত্রীকে মেরে সাইকেলে এনে বাপের বাড়ির পাশে ফেলে পালাল যুবক। ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল খেজুরির তালপাটি ঘাট উপকূল থানা এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে গোরাচাঁদ দাস তাঁর একুশ বছরের মেয়ে প্রতিমাকে বিয়ে দিয়েছিলেন দুর্লভ প্রামাণিক নামে বেড়িয়ার এক যুবকের সঙ্গে। প্রতিমার তিন বছরের এক মেয়েও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দুর্লভ আরও বেশি পণের দাবিতে প্রতিমার ওপর অত্যাচার চালাতে থাকেন।
প্রথম প্রথম জামাইয়ের দাবি মেনেও নিয়েছিলেন প্রতিমার বাবা। কিন্তু দিনের পর দিন দাবি বাড়তে থাকে, আর সেই দাবি না মানলে প্রতিমার ওপর চলতে থাকে অত্যাচার। সোমবার সকালে বাবারবাড়ির অদূরেই একটা বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহে সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেন। বস্তা থেকে উদ্ধার হয় প্রতিমার দেহ। পাড়ার মেয়েকে দেখে চিনতে পেরে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বাবা গিয়ে মেয়ের দেহ শনাক্ত করেন। অভিযোগ, পণের দাবিতে প্রতিমাকে মেরে দেহ বস্তায় ভরে বাপেরবাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যান জামাই।
ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছাড়ায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্লভের পরিবারের চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তালপাটি ঘাট থানার পুলিশ। বর্তমানে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।