Digha Jagannath Temple: ‘ওরা হিন্দু শাস্ত্রই জানে না’, দিঘার মন্দিরকে কি ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যায়? ব্যাখ্যা দিলেন রাধারমণ দাস

Digha Jagannath Temple: রাধারমন দাসের মতে, "যারা এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাদের হিন্দু শাস্ত্র জানা নেই। ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "সনাতনী হিন্দু ধর্মের অনেক ভাগ। পুজো পদ্ধতিও আলাদা।"

Digha Jagannath Temple: ওরা হিন্দু শাস্ত্রই জানে না, দিঘার মন্দিরকে কি জগন্নাথ ধাম বলা যায়? ব্যাখ্যা দিলেন রাধারমণ দাস
Image Credit source: Facebook

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 06, 2025 | 1:50 PM

দিঘা: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে কেন ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এবার সেই নামের ব্যাখ্যা দিলেন দিঘার মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাধারমন দাস। পুজোর দায়িত্বে থাকা ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “ধাম লেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে ভগবানকে অপমান করা।”

ধাম বিতর্কে উত্তর দিতে গিয়ে রাধারমণ দাস পরিষ্কার বলেন, যেখানে ভগবানের অবস্থান বা বসবাস সেই জায়গাকেই ভক্তরা ধাম বলেন। পুরী হল চার ধামের মধ্যে একটি। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম বললে দিঘা তো আর পুরী হয়ে যাবে না। কারণ চারধামের বাইরে বৃন্দাবন, নবদ্বীপ, মায়াপুরকেও ধাম বলা হয়। তাই দিঘার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক যথাযথ নয় বলে মনে করেন তিনি।

রাধারমন দাসের মতে, যারা এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাদের হিন্দু শাস্ত্র জানা নেই। ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সনাতনী হিন্দু ধর্মের অনেক ভাগ। পুজো পদ্ধতিও আলাদা। পুরীতে পুরীর রীতি মেনে জগন্নাথের পুজো হয়, আর দিঘায় পুজো হয় গৌড়ীয় বৈষ্ণব শাস্ত্র মেনে। গৌড়ীয় রীতিতে ভগবান যেখানে অবস্থান করেন, তাকেই ধাম বলে। সেই কারণে মন্দিরের একাধিক জায়গায় জগন্নাথ ধাম লেখা রয়েছে।”

জগন্নাথ ধাম লেখা কোনও গ্লোসাইন বোর্ড খোলা হয়নি বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র মন্দির উদ্বোধনের সময় যারা ডেকরেশন ও আলোর দায়িত্বে ছিলেন তারা মন্দির সংলগ্ন রাস্তার পাশে থাকা আলো দিয়ে সাজানো অস্থায়ী জগন্নাথ ধাম লেখা বোর্ড খুলে দিয়েছে।

পুরীর মন্দিরের কাঠ চুরি করে জগন্নাথের বিগ্রহ তৈরি হয়নি বলেও জানিয়ে দেন রাধারমন দাস। তিনি জানান, দ্বৈতাপতিরা ওড়িশা থেকে বিগ্রহ নিয়ে এসেছিলেন, দিঘায় কাঠ এনে মূর্তি তৈরি হয়নি।

পাথরের ও কাঠের পৃথক বিগ্রহ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই প্রসঙ্গে রাধারমন দাস বলেন, “শুধু পাথরের বিগ্রহ কেন, ধাতুর বিগ্রহেও ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে পারে। গৌড়ীয় শাস্ত্র মতে পাথর, ধাতু, মাটি, মুদ্রা প্রভৃতি জিনিসে তৈরি বিগ্রহে, এমনকী নিজের মনের মধ্যে ভগবানের বিগ্রহ রূপ কল্পনা করে তাতেও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। ভগবান বলেছেন আমি সর্বত্র বিরাজমান।”