Robbery: ক্রমাগত বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, পুলিশ কঠোর হতেই ধরা পড়ল ১০ ডাকাত
North Dinajpur: আজ অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর: ঠাণ্ডা পড়তেই সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চুরি ছিনতাই বেড়ে চলেছে। ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়ার জেরে ১০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করলো মারিশদা থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসস্ত্র সহ একটি চোরাই পিকআপ ভ্যান ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হল কাঁথি থানার দারুয়া এলাকায় শেখ রমজাম, শেখ রাজ , শেখ বেলাল, শেখ জুয়াস , শেখ রাকিব , শেখ মালেক, মারিশদা থানার ফুলেশ্বর গ্রামের শেখ সেলিম হোসেন, শেখ সিরাজুল, সৈয়দ সেনেশা আলম ও শেখ মুকলেস। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মারিশদা মশাগাঁ এলাকা থেকে ১০ জন ডাকাতকে পাকড়াও করে পুলিশ। রাতেই মারিশদা থানার ওসি রাজু কুণ্ডু নেতৃত্বের বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। ডাকাতির উদ্দেশ্যে জোড় হওয়ার জেরে দশ জনকে পাকড়াও করে তারা। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হয় একটি গাড়ি।
পুলিশি প্রাথমিক তদন্তে অনুমান গত ১১ ই ডিসেম্বর রাতে মারিশদা বাজারে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দেওয়াল ভেঙে নগদ টাকা ও সোনার গয়না সহ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি হয় বলে দাবি মালিকের। এরপর দোকানের মালিক রতন কামিলা মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই জোরদার তদন্ত শুরু করে মারিশদা থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ধরতে শুধু মারিশদা নয় জেলায় একাধিক এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি এর আগে ধৃতরা একাধিক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল। মারিশদা বাজারে ডাকাতির পেছনে অভিযুক্তদের হাত রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
মারিশদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজু কুণ্ডু বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মারিশদা মশাকা এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি গাড়িও আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা অন্য কোন ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে। ”