কলকাতা: নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন রবিবার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্বোধন নিয়ে রবিবার থেকেই বিতর্ক ছড়িয়েছে বিস্তর। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না করা নিয়ে আগেই তোপ দেগেছিল দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। রবিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল বিরোধীরা। তৃণমূলও নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল। কিন্তু নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এই দুই জনপ্রতিনিধি তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। যদিও দলীয় নির্দেশ তাঁরা অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ। এমনকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা এই দুই সাংসদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের এই দুই সাংসদ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ও ভাই। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর থেকেই তাঁর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। বিধানসভা ভোটের আগে মোদীর সভায় উপস্থিত ছিলেন এরা। যদিও তৃণমূল সাংসদ হিসাবেই লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা। এই দুই সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে একাধিক বার আবেদনও করেছে ঘাসফুল শিবির। যদিও সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে দলীয় নির্দেশে অমান্য করে অতীতেও দলের থেকে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন গিয়েছে কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ।
রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রকট হয়েছিল অধিকারী পরিবারের এই দুই সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অধিকাংশ সাংসদ ও বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশির ও দিব্যেন্দু দিল্লিতে গিয়ে লোকসভায় ভোট দিয়ে এসেছিলেন। আবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত ছিল তৃণমূল। কিন্তু শুভেন্দুর দাদা ও ভাই তৃণমূলের লাইনে না হেঁটে ভোটদানে অংশ নেন। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেও সেই ধারা বজায় রইল।