Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মমতার ‘বোন’ নিয়ে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

এদিনও বামেদের ভোট প্রার্থনা শোনা গেল শুভেন্দুর গলায়। বামপন্থীদের বলি, অন্য জায়গায় ভোট দেবেন না। তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র বিজেপিই।

মমতার 'বোন' নিয়ে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2021 | 4:59 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: শুধু ভবানীপুর, নন্দীগ্রামই নয় এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও বহু বোন বেরোবে। নন্দীগ্রামের সভা থেকে মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুর তাঁর বড় বোন, নন্দীগ্রাম তাঁর মেজ বোন, সেখানেই সভা করে এদিন মমতাকে পাল্টা এক হাতে নেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন ‘স্লোগান চুরি’র দায়েও অভিযুক্ত করেন তিনি।

নন্দীগ্রামের ভগবানপুরে দলীয় কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। এরইমধ্যে খবর পৌঁছয় তৃণমূলের উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল তৃণমূলের কোর কমিটি ও জেলা মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সে বিষয়কে সামনে রেখে শুভেন্দু নাম না করে মমতার উদ্দেশে বলেন, “বড় বোন ভবানীপুর, মেজ বোন নন্দীগ্রাম বলেছেন। এবার সেজো বোন ডোমজুড়, ছোট বোন বালি হবে। আজ তো আবার প্রবীরবাবুও বেসুরো। এখন যে কত বোন হবে কে জানে।”

এদিন নন্দীগ্রামে এক কৃষক পরিবারে দুপুরের খাবার খান শুভেন্দু।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন তিনি। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। দু’জনকে নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল। এরইমধ্যে আবার নবতম সংযোজন প্রবীর ঘোষাল। বিজেপি তৃণমূলের এই ‘নড়বড়ে’ অবস্থাকে কটাক্ষ করার কোনও সুযোগই ছাড়তে নারাজ।

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও ‘দুয়ারে সরকার’

সোমবারই হুগলির পুরশুড়ায় মমতা বলেছিলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল ঘরে ঘরে।’ যে স্লোগানের সঙ্গে হুবহু মিলে যায় শুভেন্দুর ‘কপিরাইট’ স্লোগান ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে পদ্মফুল ঘরে ঘরে’। এদিন তা নিয়েই মমতাকে এক হাত নেন এই বিজেপি নেতা। বলেন, “লকডাউনে চাল চুরি করেছে, আমপানে ত্রিপল চুরি করেছে। মোদীজি যে টিকা পাঠিয়েছিলেন তাও চুরি করেছে। এবার স্লোগান চুরি করছে। এখন আর হরে কৃষ্ণ হরে হরে বলে কোনও লাভ হবে না। এখন বলতে হবে বল হরি।”