ফের শুভেন্দুকে বাধা, বিরোধী নেতার পথ আটকে লাউড স্পিকার বাজিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূলের!
Suvendu Adhikari: ফের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-কে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের (TMC)। লাউড স্পিকার সাজিয়ে শুভেন্দুর গাড়ি আটকানোর চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।
পূর্ব মেদিনীপুর: ফের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-কে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের (TMC)। রাস্তায় লাউড স্পিকার সাজিয়ে জোরাল শব্দে বাজিয়ে শুভেন্দুর গাড়ি আটকে দাঁড়িয়ে থাকেন শতাধিক তৃণমূল কর্মী। বিনা প্ররোচনায় বিরোধী নেতার রাস্তা আটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।
এদিন তমলুকের ধারিন্দায় দলীয় মিটিং করতে আসেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তমলুক পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় মিটিং করতে এসে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তমলুক-মেছেদা রাজ্য সড়কের উপর দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে লাউড স্পিকার বাজিয়ে শুভেন্দুর পথ আটকানোর চেষ্টা করেন তৃনমূল কর্মী ও সমর্থকদের। প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং RAF। যদিও তার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিক্ষোভের মুখে গাড়িতেই শক্তমুখে বসে থাকতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
এর পর পুলিশের সহায়তায় তৃনমূল কর্মী সমর্থকদের প্রবল উত্তেজনার মধ্যে দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মিটিং স্থলে। যদিও তারপরেও উত্তপ্ত তমলুক-মেছেদা রাজ্যসড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। নিরাপত্তারতক্ষীদের ঘেরাটোপে মিটিং সেরে ফেরার পথ ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। রাত সাড়ে দশটা দলীয় বৈঠক সেরে কুড়ি নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে বেরনোর পথেও ফের বিক্ষোভ। তৃনমূল সমর্থকদের বিক্ষোভে ‘গদ্দার হাঁটাও’ স্লোগান ওঠে। এর পর ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনি এবং RAF মোতায়েন থাকায় বড় ধরনের কোনও ঝামেলা অবশ্য ঘটেনি। তবে পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতিতে ভর সন্ধের পর থেকে রাজ্য সড়কের ওপর তৃণমূল কর্মীদের দাপাদাপিতে বেশ কিছুটা হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রী সহ গাড়ি চালকদের। থমকে যায় একের পর এক গাড়ি। তমলুক-মেছেদা রাজ্য রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
এর আগে কিছুদিন আগেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু। সেবার পাঁশকুড়াতে বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়াকে দেখতে গিয়ে তৃণমূল-কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় আহত হন ১০ জন বিজেপি কর্মী। তার পর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তমলুকের জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের বাড়িতে বৈঠক করতে যাওয়ার সময়ে রাজ্য সড়কের উপর শুভেন্দুর গাড়ি লক্ষ্য করে শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল। সেবারও এমনই বক্স বাজিয়ে ‘গদ্দার হটাও’ স্লোগান তুলে পোস্টার হাতে নিয়ে রাজ্য সড়কের উপর দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দেখে পাল্টা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু নীরব দর্শকেের ভূমিকা পালন করেছে। এ নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বিজেপির দাবি, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার পরই শুভেন্দু অধিকারীর সাংগঠনিক কার্যকলাপে বাধা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এদিন পুলিশের সামনে রাস্তা আটকে যেভাবে মাইক বাজিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল তাতে জনগণ তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হচ্ছে বলে প্রতিক্রিয়া তাদের। আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় ঢেউ শুধু শুভেন্দু দেখছে’, করোনাবিধির তোয়াক্কা না করে জেলা কর্মীসম্মেলন ঋতব্রতর