Suvendu Adhikari: মমতার লক্ষ্য ২১৪, ছাব্বিশের ভোটের টার্গেটটা বলেই দিলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: বুধবার বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় কেন পুলিশ নিশ্চুপ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এর প্রতিবাদে আজ তমলুকে প্রতিবাদ মিছিল করেন শুভেন্দু।

তমলুক: ভোট সামনের বছর। কিন্ত বাংলায় এই বছর থেকেই চড়ল রাজনৈতিক উত্তাপ। বিজেপি-তৃণমূল প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত ভোটে লড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগেই তৃণমূলের মেগা বৈঠকে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় টার্গেট বেঁধে দেন অভিষেক। আর এবার বিজেপি কর্মীদের টার্গেট দিলেন শুভেন্দু।
বুধবার বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় কেন পুলিশ নিশ্চুপ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এর প্রতিবাদে আজ তমলুকে প্রতিবাদ মিছিল করেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু বলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ তখনই মুক্তি পাবে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হবেন। এই জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা হারিয়েছেন। জেলার দুটো লোকসভা আসন নরেন্দ্র মোদীকে দিয়েছেন। শপথ নিন আমরা এই জেলা ১৬টি বিধানসভা আসনেই জিতব। রাজ্যে হব ১৮০ অন্তত। এবার মমতাকে প্রাক্তন করব।” অর্থাৎ একটি কেন্দ্রও যে বিজেপি ছাড়বে না তা স্পষ্ট বলেছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের মেগা বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে আগামী বিধানসভা ভোটের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। বলেন, “দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিততে হবে। সেটা ১৯৬ হয়। কিন্তু আমি বলব ২১৪ টপকে আমাদের যেতে হবে।” আবার শভেন্দুর জেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ষোলোটি আসনের মধ্যে বারোটি আসন জেতার টার্গেট বেঁধে দেন তৃণমূল কর্মীদের। অর্থাৎ শক্ত গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটিতে যেমন শুভেন্দু একটি বিধানসভা আসন ছাড়তে চাইছেন না, তেমনই রাজ্যের শাসকদল গোটা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য বেশি করে আসন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে।





