পূর্ব মেদিনীপুর: এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে বাজি উদ্ধারের নামে গ্রামবাসীদের ওপর পুলিশি জুলুম চলছে বলে দাবি করে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে এগরা শহরে পদযাত্রার আয়োজন করেছিল বিজেপি। শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যাণ্ড থেকে শুরু করে দিঘা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয় পদযাত্রা। সেই পদযাত্রা থেকে এগরার মানুষকে খেজুরি ও নন্দীগ্রামের দেখানো পথ অনুসরণ করার কথা বললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে একসময় রাস্তা কেটে পুলিশের গ্রামে ঢোকার ক্ষেত্ বাধা দেওয়া হত, এদিন কার্যত সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভানু বাগকে লাইসেন্স দিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিলতা দাস।” এগরার ঘটনার পর থেকে গত ৭ দিন ধরে পুলিশি জুলুম চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। গ্রামবাসী উদ্দেশে বলেন, “খাদিকুল ও সাহাড়াকে বলে যাচ্ছি পুলিশের এই বাড়াবাড়ি বন্ধ না হলে নন্দীগ্রাম, খেজুরির দেখানোর পথে চলুন। নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কী হয়েছিল, তা আপনারা জানেন। তাই পুলিশ যদি গ্রামে ঢোকে গ্রামবাসীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি রাখবেন।” দলীয় কর্মসূচি শেষে এগরা থানায় যায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্ব।
বিরোধী দলনেতার দাবি, ভানু বোমা পরীক্ষা করছিলেন। এই বোমাগুলো অর্জুননগর, বাড়হাট কাটরঙ্কা সহ সারা রাজ্যে সাপ্লাই হতো পঞ্চায়েত ভোটের আগে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনেক আগে খাদিকুলে আসার কথা ছিল। আমার আগে আসা উচিত ছিল। আমার কাছে তো হেলিকপ্টার নেই। কলকাতা থেকে এগরা আসতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগবে। উনি রামপুরহাট গিয়েছিলেন আমাদের পরে আর এখানে যখন আসবেন তখন শ্রাদ্ধশান্তি শেষ হয়ে যাবে। শ্রাদ্ধ শান্তির পর এসে লাভ নেই, ওঁকে বলুন বাৎসরিকে আসতে।”