নন্দীগ্রাম: পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধ দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এসে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের প্রাক্তন এক আইএএস অফিসারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের চাকরির অবলুপ্তির নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন।
মহালয়ার দিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। কারণ তিনি ভোটের আগে দাবি করেছিলেন, করোনা ভ্যাকসিন কিনে দেবেন। তার পর ভারত সরকার ১৫ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছে। ভোটের আগে ডবল চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্যে ডবল চাকরি হয়েছে এক জন প্রাক্তন আমলার। আর কারও হয়নি।”
এর পর চাকরির প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “এটা কোনও সরকার নয়। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চাকরি দিয়েছে, তা করে বিয়ের জন্য মেয়ে পাওয়া যায় না। বেতন কম।” উদাহরণ হিসাবে প্রাণী মিত্র, আইসিডিএস ও আশা কর্মীদের চাকুরীর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “এরা ১৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকার মধ্যে বেতন পান। রাজ্য কোনও স্থায়ী চাকরি দেয়নি। আমি মন্ত্রিসভায় চার বছর ছিলাম। সেখানেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের তত্ত্বাবধানে ৬ লক্ষ স্থায়ী চাকরি অবলুপ্ত করা হয়েছে। তার বদলে ৬০ হাজার অস্থায়ী চাকরি দিয়েছে। তার মধ্যে ৩০ হাজার দিয়েছে পার্টির ক্যাডারদের। তাঁরা কোনও দিন অফিস যায় না। কাজ করে না। শুধুমাএ তোলা তোলে। বাকি ৩০ হাজার চাকরির জন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন, “এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। শিক্ষক বাদে ৬ লক্ষ সরকারি কর্মচারিই নেই। তো পদ অবলুপ্তি কী করে হবে। উনি পরিসংখ্যান জানেন না। আগে পরিসংখ্য়ান নিক। তার পর এসব বলুক।”