হলদিয়া: অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যু হয়েছে। যার জেরে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বারংবার নির্দেশিকা জারি করে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে রাজ্যে অ্যাডিনোয় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনা নজর এড়ায়নি বিরোধীদের। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি ও তাঁর বাড়ির লোকজন সরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা রাখতে পারেন না। তাঁর বাড়ির লোক বিদেশে যান চোখ দেখাতে। মানুষ নিরুপায় হয়ে যাচ্ছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত রক্ষককবচ না সুরক্ষাকবচ নিয়ে। তাই শিশুরা অবহেলিত। তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অবিলম্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের উচিত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শিশুদের রক্ষা করা।”
একা শুভেন্দু অধিকারী নন। এই ইস্যুতে কটাক্ষও করেছেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শিশুরাই বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। এখনই আটকানো না গেলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সরকারের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা। ওষুধ হোক বা ইনঞ্জেকশন হোক বা ভ্যাকসিন হোক। স্পেশাল গুরুত্বের সঙ্গে জরুরি টিম তৈরি করা প্রয়োজন।”