পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যজুড়ে পুরভোটে লাগাতার অশান্তির কারণে সপ্তাহের শুরুর দিনই ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক সন্মেলন সেই কথা ঘোষণাও করেন। আজ সকাল হতেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ইতিমধ্যে জেলাগুলি থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও উঠে আসছে। এরই মধ্যে হঠাৎ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাঝ পথেই বনধ প্রত্যাহারের ডাক দিলেন।
নন্দীগ্রামের এক সভায় শুভেন্দু জানান, হঠাৎ ডাকা বনধে অসুবিধায় পড়েছেন অনেকেই। তাই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘গতকাল পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা থেকে ডাকা বনধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। তাই অনুরোধ করব বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।’
আর কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পুর নির্বাচনের অবস্থা দেখে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে-গ্রামে দুর্গা বাহিনী তৈরি করুন। পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তিন পর্যায়ে। পুলিশ ও বহিরাগত দিয়ে ভোট লুঠ করলে ওরা বেরিয়ে আসার সময় ব্যালট বক্স ধরে পুকুরে ফেলে দিন। ক্ষমতার জন্য আমি লালায়িত নই, তাই আমি ভোগী নই, ত্যাগী। সেই কারণে সব ছেড়ে এসেছি। মানুষ যেদিন ক্ষমতা দেবে সে দিন আমি আসব।” এরপর নন্দীগ্রামের ১৪ই মার্চ প্রসঙ্গ টেনেও উক্তি করেন শুভেন্দু। ‘পুলিশ ও এসেছিল জেলায়। তারা ভোট লুঠ করেছে। আমি ওদের ছাড়ব না। প্রধান বিচারপতির কাছে কাঁথির পুরনির্বাচনকে বাতিলের দাবি করেছি।’
এরপর এদিন নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে আইসি সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা করেনি বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি এই নেতা। গতকাল রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনের গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে এমনই দাবি তোলে বিজেপি। এরপরই বনধের সমর্থনে জেলার মেছেদা,কোলাঘাট, তমলুক, হলদিয়া,নন্দীগ্রাম,খেজুরি সহ একাধিক জায়গায় পথে নামে বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: BJP Bangla Bandh: ‘গতকাল কোথায় ছিল পুলিশ?’ বনধের সমর্থনে বেরোতেই গ্রেফতার সজল ঘোষ
আরও পড়ুন: BJP Bangla Bandh Live Update: রণক্ষেত্র বালুরঘাট, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পথ আটকে বিক্ষোভ