Tamluk:আবারও হাজার হাজার নোটের বান্ডিল উদ্ধার, এবার গ্রামের এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার কাছ থেকে!
Tamluk: বর্ষশেষের দিন। রাস্তার ভালই ভিড়। খোশমেজাজে সকলেই। হাসপাতালের সামনের রাস্তা, স্বাভাবিকভাবে সেখানকার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। জেলা সদর শহর তমলুকের হাসপাতাল মোড়ের ধারে একটি ড্রেনে পড়েছিলেন এক মানসিক ভারসামহীন বৃদ্ধা।
তমলুক: হাসপাতালের পাশের রাস্তায় একটা ড্রেন। তাতেই উপুড় হয়ে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধা। দেখতে পেয়েছিলেন হাসপাতালের ভর্তি রোগীর পরিজনরাই। তখনও বিষয়টা বুঝতে পারেননি। খবর দেওয়া হয় থানায়। ওই মহিলাকে ড্রেন থেকে উদ্ধার করার পর চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই। মহিলার সঙ্গে ছিল একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ। আর সেখানে হাজার হাজার টাকা। তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ড্রেনে পড়ে থাকা মানসিক ভারসামহীন বৃদ্ধার কাছ থেকে উদ্ধার ৬৪ হাজার ১৫ টাকা।
বর্ষশেষের দিন। রাস্তার ভালই ভিড়। খোশমেজাজে সকলেই। হাসপাতালের সামনের রাস্তা, স্বাভাবিকভাবে সেখানকার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। জেলা সদর শহর তমলুকের হাসপাতাল মোড়ের ধারে একটি ড্রেনে পড়েছিলেন এক মানসিক ভারসামহীন বৃদ্ধা। রোগীর কয়েকজন পরিজন আর শহরের টোটো চালকদের কয়েকজন হঠাৎই ড্রেনে পড়ে থাকা ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পান।
তাঁরা দেখেন ওই বৃদ্ধা ড্রেনে গলা অবধি ডুবে রয়েছেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে তুলে আনার সময় লক্ষ্য করেন, বৃদ্ধার শরীরে কোনও কাপড় নেই, টোটো থেকে কাপড় নিয়ে বৃদ্ধার গায়ে পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কাপড়ে জড়ানো প্লাস্টিকে প্রচুর টাকা রয়েছে। পুলিশ গুনে দেখে সেখানে ৬৪ হাজার ১৫ টাকা রয়েছে। তাতে পাঁচশো, দুশো ও একশো টাকার নোট। নোটগুলো ড্রেনে পড়ে থাকায় ভিজে গিয়েছিল সব। তাঁদের এখন একটাই দাবি, এই বৃদ্ধাকে প্রশাসন তুলে নিয়ে গিয়ে কোনও বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করুক।
এলাকাতেই বাড়ি ওই বৃদ্ধার। কিন্তু প্রতিবেশীদের একাংশ বলছেন, বৃদ্ধা অবহেলিত। তাঁর দেখভাল ঠিকভাবে হয় না। তবে এত টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন, তাঁর সঞ্চিত টাকা নাকি অন্য কোথাও থেকে কুড়িয়ে পেয়েছেন, তা সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এটা এই বৃদ্ধার সঞ্চিত উপার্জনই।