Cyber Fraud: এবার ব্যাঙ্ক ম্য়ানেজারের ২ লক্ষ টাকা গায়েব! এক ফোনেই ফাঁকা অ্যাকাউন্ট
Purba Medinipur: ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে শচীনলক্ষ্মণ রাউতকে বলা হয়, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হতে চলেছে। এমনকী ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জও বলবৎ করা হচ্ছে বলে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেন ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। যদিও তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
পূর্ব মেদিনীপুর: এবার সাইবার-অপরাধীদের কবলে খোদ ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার। সিম ক্লোন করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওই ম্যানেজারের। তমলুক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছে আধার জালিয়াতির। আধারের বায়োমেট্রিক নকল করে কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা, কোথাও আবার টাকার পরিমাণটা লাখ পার। আর এসবের মধ্যেই এবার খোদ ব্যাঙ্ককর্তার অ্যাকাউন্টে হানা সাইবার অপরাধীদের। তাও আবার জেলা সদর তমলুকে।
ক্রমাগত যেন এ রাজ্য যেন সাইবার অপরাধীদের হটস্পট হয়ে উঠছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা শচীনলক্ষ্মণ রাউত। তমলুকের পাদুমবসান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তমলুক শাখায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে কর্মরত তিনি। ৬ বছর হতে চলল তমলুকেই থাকেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌঁনে ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। হঠাৎই মোবাইল ফোন বেজে ওঠে।
ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে শচীনলক্ষ্মণ রাউতকে বলা হয়, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হতে চলেছে। এমনকী ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জও বলবৎ করা হচ্ছে বলে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেন ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। যদিও তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শচীন ফোনটি কেটে দেন। তবে ফোন কাটতেই পর পর দু’টি ওটিপি আসে শচীনের নম্বরে।
অভিযোগ, মুহূর্তে শচীনের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোট দু’দফায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। এরপরই থানায় ছোটেন তিনি। শচীন জানান, এমন ঘটনায় হতবাক তিনি। প্রতারকদের কোনওরকম তথ্য শেয়ার না করলেও অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গেই ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মোবাইলের সিম ক্লোন করে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে এমন ঘটনায় শোরগোল তমলুকে। সাধারণ আমানতকারীদের আর্থিক নিরাপত্তাও এখন প্রশ্নের মুখে।
তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ জানান, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কোন তথ্য উঠে আসে, নজর সেদিকেই। এ ঘটনায় হতবাক শচীনলক্ষ্মণ রাউত বলেন, “যা ঘটল আমার ভাবনাচিন্তার বাইরে। এখন যা চলছে তাতে তো যা কিছু হতে পারে।” প্রশ্ন উঠছে, তথ্য প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার দিকটি কি একেবারেই ভেঙে পড়ছে? সত্যিই যদি তেমনটা হয়, তাহলে তো বড় বিপদের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না কোনওমতেই।