
পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকের একাধিক নার্সিংহোম পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলার হুমকির শিকার রাজ্য যুব তৃণমূল সহ সভাপতি পার্থ সারথি মাইতি। প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা! পোস্ট তোলার ডেট লাইনও বেঁধে দেওয়া হল ২৪ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার তমলুক নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সজল কর তমলুক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়। তমলুকে প্রায় ৭০টি ঝা চক চকে নার্সিং হোম কিন্তু পরিকাঠামো কই ? বিতর্কের শুরু হতেই তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা রাজ্য প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি পার্থসারথি মাইতি শুক্রবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে লেখা ছিল, যিনি নিজেই তিনটি নার্সিংহোমের মালিক তাঁর মৃত্যু হল তমলুক মেডিক্যাল কলেজে! তমলুকের মানুষরা জেগে উঠুন। আপনাদের প্রতিবাদ নার্সিংহোমের মালিকদের এই বুজুরকি বন্ধ করতে পারে। আর এই পোষ্টের পর থেকেই শুরু বিতর্ক তমলুক তথা সারা জেলায় ছড়িয়ে যায়।
কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতার পার্থ মাইতির অভিযোগ, এই পোস্ট করার পরেই প্রায় ১০০ জন লোক যাঁরা নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। এবং যার মধ্যে অনেক নার্সিংহোমের মালিকও রয়েছেন তারা প্রার্থ মাইতির বাড়িতে আসেন এবং হুমকি দেন।ফেসবুক পোস্ট তুলে নেওয়ার সুর চড়ান। যদিও সেই সময় পার্থ বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা আইনজীবী তথা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি। চিত্তবাবুকে বলা হয় তাঁর ছেলে পোস্ট যেন ডিলিট করে দেন। এবং তার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন, “সজলবাবু আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য যে ইনজেকশনের দরকার ছিল তার দাম প্রায় ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। যে ইনজেকশন ওই নার্সিং হোমগুলোতে রাখা হয় না। একমাত্র পাওয়া যায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজে। তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পার্থ মাইতিকে কোন প্রকার হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি বিষয়টি না জেনে পোস্ট করেছিলেন। তাঁকে ডিলিট করতে মাত্র বলা হয়েছিল।” অপরদিকে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, “পার্থ মাইতি একটি সঠিক কাজ করেছেন।”