কোলাঘাট: ফাঁকা ঘর। সেই ঘরের মধ্যেই ঝুলছে শিক্ষককের দেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাটে। পুলিশ আসার পর আত্মহত্যার কারণ জানতে গিয়ে স্ত্রী-র বয়ান থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ঘটনা। সেখানে কোলাঘাট থানার দেঁড়িয়াচক গ্রামের হাই স্কুলের শিক্ষক বাপ্পা বর্মণ। আজ সকালবেলা তাঁরই দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাতসকালে বাড়িতে কেউ না থাকায় বাড়ি পাশে টালির চালের ঘরে গামছা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাপ্পা বর্মণের ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে নাকি ভুয়ো শিক্ষক লেখা ছিল। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাঁকে বিভিন্ন লোকজন চোর অপবাদ দিতে থাকে। তার জেরেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন ওই ব্যক্তি। এর জেরেই আত্মহত্যা হয়েছে বলে খবর।
অপরদিকে মৃতের স্ত্রীও একই অভিযোগ করেছে। কেউ ফোনে তাঁর স্বামীকে মেসেজ করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে ভুয়ো শিক্ষককতা চালাচ্ছেন তিনি। স্ত্রীর আরও অভিযোগ, এরপর তাঁর স্বামীর ফোন কেউ বা কারা হ্যাক করে এই মেসেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। তার জেরেই অবসাদ। আর এর ফলস্বরূপ আত্মহত্যা
করেছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে কোলাঘাট থানার পুলিশ পৌঁছ দেহ উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি দুরকমের কথা শুনে এখানে এসেছি। তবে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল জানি না। চাকরি সংক্রান্ত কোনও ঘটনার কারণে এই কাজ হয়েছে কি না। আবার শুনছি চোর! লোকের থেকে টাকা ধার নিয়েছে। সেই টাকা বাকি আছে। তবে কতটা সত্যি বলা মুশকিল। তবে এটা ঠিক হতেও পারে। কারণ এই সময় চাকরি চুরির ঘটনা ঘটেছে। কোনটা সঠিক জানি না।’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন দাস বলেন, ‘আমাদের ২৮ তারিখ স্কুল খুলেছে। কিন্তু পুজোর ছুটির পর থেকে উনি স্কুলে যাননি। উনি ইতিহাস পড়াতেন। ভাল ছেলে ছিল। আমি জানতাম কাঁথিতে থাকতেন। ছেলে মেয়ে রয়েছেন কি না জানি। উনি সম্ভবত ২০১৯ এ চাকরি পেয়েছেন। তবে ম্যাসেজের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি এখন ছুটিতে আছি।’