
মহিষাদল: হাজার হাজার অ্যাপ, নিত্য নতুন কৌশল, বিনোদনের সঙ্গেই উপার্জনের হাতছানি। আর সেই সব অ্য়াপের হাত ধরে কেউ করছেন হাজার হাজার টাকা উপার্জন, আবার কেউ ফাঁদে পড়ে হারিয়ে ফেলছেন লাখ লাখ টাকা। এরইমধ্যে মহিষাদলে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার ফের প্রশ্ন উঠে গেল এই অ্যাপগুলিকে নিয়ে। সহপাঠীদের একাংশ বলছেন, মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল ২২ বছরের অভিজিৎ পাত্র। বিপুল টাকা ঋণও হয়ে গিয়েছিল। তা মেটাতে না পেরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে জানাচ্ছেন অনেকেই তার জেরেই আত্মহত্যা বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে এর পিছনে অন্য কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিজিতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এলাকায়। পড়ছিল স্নাতক স্তরে। মহিষাদলের ক্ষুদিরাম বোস কলেজ অফ ফার্মেসিতে ফিজিও থেরাপি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। সহপাঠীরা বলছেন, সকালে সকলে ঘুম থেকে উঠে পড়লেও অভিজিতের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর কলেজের লোকজন এসে দরজা ভাঙতেই চোখ কপালে উঠে যায়। দেখা যায় ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় কাপড় জড়িয়ে ঝুলছে অভিজিৎ। খব দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশ এসে ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে।
কলেজের নিরাপত্তা রক্ষী সুমন্ত দে জানাচ্ছেন, সাড়ে ১১টা বেজে গেলেও অভিজিতের কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। শেষে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। একই কথা হস্টেলের ছাত্র মৃদুল পালের। মৃদুল বলছেন, “আমি ওর থেকে জুনিয়র। পাশের ঘরে থাকতাম। একটা দরকারে সকালে ফোন করেছিলাম। কিন্তু, বেশ কয়েকবার ফোন করে পাওয়া না গেলে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীকে জানাই।” মহিষাদল থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলছেন, “একটা সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। আমরা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছি।”