
তমলুক: খালাসি পড়ে গিয়েছিলেন গাড়ি থেকে। তখনই পিছনের গাড়ি এসে দিল পিষে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর মৃতদেহ রাস্তায় ফেলেই চম্পট দেয় গাড়ির ড্রাইভার। ঘটনাটি তমলুকে। ভিড় জমিয়েছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পিতুলসাহা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শেখ শফিকুল। বয়স ২২। বাবা শেখ গফুর আলি তমলুক থানার ডুমরা গ্রামের বাসিন্দা। এক স্থানীয় বাসিন্দার বয়ান অনুযায়ী ওই ব্যক্তি পিকআপ ভ্যানের হেলপারি করতেন তিনি। বিভিন্ন ভাটা থেকে ইট গাড়িতে করে নিয়ে ঘাটাল পৌঁছে দিতেন।
এদিনও সেই মতোই কাজ করছিলেন। এরপর ঘাটাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেউলিয়া বাজারের কাছাকাছি ওই ব্যক্তি পিক আপ ভ্যান থেকে আচমকা পড়ে যান। তখনই পিছন থেকে আসা গাড়ি ওই ব্যক্তিকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খালাসির মৃত্যু কথা শুনেই চালক মৃতদেহ পিতুলসাহা গ্রামের রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেয়। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। বাড়ির লোকও খবর পেয়ে ছুটে আসে পিতুলশাহা গ্রামে। পুলিশ এসে মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “একজন পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে গাড়ি এসে পিষে যায়। ওকে চালকরা ধরাধরি করে তোলে। তারপর নিয়ে যায় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করতেই ওরা বডি ফেলে রেখে চলে যায়।”