এগরা: গ্রাম পঞ্চায়েতের সঞ্চালক নির্বাচন ঘিরেও অশান্তি। তুমুল উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে। শুক্রবার বেলা প্রায় এগারোটা নাগাদ পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপি-কংগ্রেস এবং নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যদের বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপরই পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় শাসক-বিরোধী যুযুধান দুই দলের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
এ দিকে, গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশ বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রবেশ করায়। অভিযোগ, বিরোধীদের প্রবেশ করতে দেখে শাসকদলের পঞ্চায়েতের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন। বহুবার পুলিশ তালা খুলতে বললেও কেউই খোলেনি তালা। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তালা ভেঙে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের ১২ টার মধ্যে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর পুলিশি নজরদারিতে বিরোধীরা সঞ্চালক নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করে।
এরপর উভয় দলের সদস্যদের পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে একশো মিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। এগরা থানার আইসি স্বপন কুমার গোস্বামী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আক্রান্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রফুল্ল মাইতি বলেন, “তৃণমূলের লোকজন বলছে আমাদের ঢুকতে দেবে না। তখন আমি জোর করে ঢুকতে যাই পঞ্চায়েত অফিসে। তখনও একদল তৃণমূল সমর্থক বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে প্রবেশ করায়।” তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আস্ফাতুল্লাহ খান বলেন, “বিজেপির নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। তা মিটিয়ে আসতে-আসতে দেরি হয়ে যায়। এরপর যখন আসে তখন সঞ্চালক নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”