
পাঁশকুড়া: মেসে থাকতেন। ভোরেই বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। কয়েকঘণ্টা পর সেই ছাত্রীরই মৃত্যুর খবর এল পরিবারে। মেসে গলায় দড়ি দিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়। মৃত ছাত্রীর নাম কোয়েল অধিকারী। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। রবিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মেস থেকে। মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ কোয়েলের পরিবার।
পাঁশকুড়া থানার কাঁটাবনী শাসন এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত অধিকারীর মেয়ে কোয়েল অধিকারী। বছর বাইশের এই তরুণী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসি-র প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেসে থাকতেন। রবিবার ভোরেই পাঁশকুড়ার বাড়ি থেকে মেসে যান তিনি।
তারপর থেকে মেয়ের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি বাড়ির লোকজন। পরে এক বান্ধবীর নম্বরে ফোন করলে
জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগ করেনি। যে বান্ধবীর নম্বর থেকে বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা, সেই বান্ধবী পরে ফোন সুইচ অফ করে দেন। পরে পরিবারের লোকজন বর্ধমান থানায় ফোন করে খোঁজখবর নিলে বিষয়টি জানতে পারেন।
অধিকারী পরিবারের দুই মেয়ে। কোয়েল বড়। তাঁর বাবা বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। পেশায় আশাকর্মী কোয়েলের মা রেখা অধিকারী বলেন, এদিন ভোর সাড়ে চারটার সময় তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মেসে পৌঁছে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন কোয়েল। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর থেকেই আর যোগাযোগ করা যায়নি কোয়েলের সঙ্গে। বান্ধবীদের সূত্রে জানতে পেরেছেন, বাথরুমের সাওয়ারে ক্রেপ ব্যান্ডেজ গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন কোয়েল। নিছক আত্মহত্যা না খুন? কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার।