TMC in Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, জানালেন ‘জোড়া টার্গেটের’ কথা

Purba Medinipur: উত্তম বারিক দীর্ঘদিনের জেলা পরিষদের সদস্য। পরবর্তীতে পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জয়ী হয়ে বিধায়কও হন।

TMC in Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, জানালেন জোড়া টার্গেটের কথা
উত্তম বারিক

| Edited By: Soumya Saha

Sep 13, 2022 | 4:51 PM

কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হলেন পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির শূন্যপদ পূরন করার হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন তিন জন। সম্ভাব্য পদের তালিকায় ছিলেন সোমনাথ বেরা (তমলুক থেকে জেলা পরিষদের সদস্য, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ ), উত্তম বারিক (জেলা পরিষদের সদস্য, পটাশপুরের বিধায়ক) এবং শাহজাহান আলি (ময়নার জেলা পরিষদের সদস্য, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ)। শেষ পর্যন্ত আগামী পঞ্চায়েত পর্যন্ত জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উত্তম বারিককে। উত্তম বারিক দীর্ঘদিনের জেলা পরিষদের সদস্য। পরবর্তীতে পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জয়ী হয়ে বিধায়কও হন। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হল উত্তম বারিককে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া পর উত্তম বারিক জানিয়েছেন, “আমি নেত্রীর নির্দেশে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করব। আজ আটজন আসেননি, অসুস্থতার কারণে।  বাংলার বাড়ি এবং গ্রামীণ রাস্তা নিশ্চিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই কাজগুলি করব।” কেন্দ্রীয় সরকার থেকে টাকা না আসার যে অভিযোগ বার বার তুলছে রাজ্যের সরকার, সেই প্রসঙ্গে উত্তম বাবু বলেন, “দরকার নেই কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার জনসভায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দরকার নেই। আমরা বাংলার মানুষের উন্নয়ন করে দেখিয়ে দিতে পারব। বিগত ১১ বছর ধরে যেভাবে আমরা বাংলার মানুষের পাশে আছি, সেভাবেই থাকব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সর্বস্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবেন।”

উল্লেখ্য, উত্তম বারিকের পাশাপাশি আরও দুইজন নাম ভেসে আসছিল বিগত কয়েকদিন ধরে। সে ক্ষেত্রে কি কোনও অসন্তোষের জায়গা তৈর হতে পারে? নতুন দায়িত্ব পাওয়া জেলা সভাধিপতি অবশ্য জানাচ্ছেন, “নিশ্চিতভাবে এখানে ক্ষোভের কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে জিজ্ঞেস করেছেন, তাঁদের মতামত। সবাই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই হবে।”