তমলুক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল ময়দানে ১৯ তম জেলা বইমেলার আয়োজন করা হয়। সেই বইমেলার শুভ উদ্বোধন করতে এসে মঞ্চের সামনে মানুষের উপস্থিতি না দেখে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের তিন মন্ত্রী, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা থাকলেও মানুষের দেখা নেই। কেন এমন হল!” বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৯ তম বইমেলার উদ্বোধনে হাতে গোনা কয়েকজনের উপস্থিতি লক্ষ্যে করা যায়। মঞ্চে অতিথি আসন পরিপূর্ণ থাকলেও দেখা নেই বই প্রেমীদের। যা দেখে বেশ ক্ষুব্ধ মন্ত্রী।
এই বইমেলার থিম ‘ভাষা শিখব বই লিখব’। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলা চলবে আগামী ৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। রোজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। ১৯তম জেলা বইমেলায় মোট ৭৪ টি বইয়ের স্টল রয়েছে। বইমেলায় বই বিক্রি বাড়ুক জেলা বইমেলায় এইটাই চাইছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা।
এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ শৌভিক চট্টোপাধ্যায়, তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়-সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি দর্শক না থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের অপর দুই মন্ত্রী অখিল গিরি ও বিপ্লব রায় চৌধুরীর। তাঁরা বলেছেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় বইমেলা করার একটাই লক্ষ্যে, যাতে বেশি বেশি মানুষ আসেন। বই কেনেন এবং বই পড়েন।”
বইমেলার দর্শকাসন ফাঁকা থাকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা প্রদীপ দাস বলেছেন, “বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় সবাই চোর। তাই তাঁদের অনষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ওরা যতদিন থাকবে, বইমেলায় কেউ আসবে না।”