Didir Doot : নড়বড়ে কাঠের সেতুতে বাড়ছে বিপদ, ‘দিদির দূতের’ পথ আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 05, 2023 | 7:54 AM

Didir Doot : স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগেও এই জীর্ণ কাঠের সেতুর বিষয়ে বারবার স্থানীয় প্রশাসনের জানানো হয়েছে। মেরামতির দাবিও করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও কোনও লাভ হয়নি।

Didir Doot : নড়বড়ে কাঠের সেতুতে বাড়ছে বিপদ,  দিদির দূতের পথ আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
এই সেতু মেরামতির দাবিতেই চলে বিক্ষোভ

Follow Us

কাঁথি : কখনও রাস্তার সমস্যা তো কখনও পানীয় জলের সমস্যা, কোথাও আবার আবাস যোজনার ঘরের দাবি, গ্রামে গ্রামে যেতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে ‘দিদির দূতদের’ (Didir Doot)। কমবেশি রাজ্যের প্রায় বহু জেলা থেকেই উঠে এসেছে এই ছবি। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার ব্রিজের দাবিতে দিদির দূতের পথ আটকালো গ্রামবাসীরা। শনিবার এই ছবি দেখতে পাওয়া গেল ভগবানপুরে। ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস। শনিবার ভগবানপুর ১ ব্লকের কাকরা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল (TMC) চেয়ারম্যান। সেখানে বেহাল কাঠের সেতু সংস্কারের দাবিতে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। 

কাকরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়াবাড় এলাকায় স্থানীয় খালের ওপর সংযোগকারী কাঠের সেতু দিয়ে ভগবানপুর ও চন্ডীপুর এলাকার মানুষেরা যাতায়াত করেন। এলাকার বহু মানুষের নিত্যপ্রয়োজনে বড় ভূমিকা রাখে প্রায় ২৫ বছরের পুরোনো এই কাঠের সেতু। এমনকী বহু মানুষের রুটি-রুজিও দাঁড়িয়ে এই সেতুর উপরেই। নিত্য কাজের পথে যেতে এই সেতু পারাপার করতে হয় বহু মানুষকেই। অভিযোগ, এলাকার জনসংযোগ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিন থেকেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই সেতু। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে পাটাতন। তবুও ঝুঁকি নিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বর্তমানে ভগবানপুর ও চন্ডীপুর এলাকার প্রচুর মানুষ বাইক, সাইকেল নিয়ে পারাপার করছেন। মাঝেমধ্যেই আসছে দুর্ঘটনার খবরও। 

এদিন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানকে হাতের কাছে পেয়ে জরাজীর্ণ কাঠের সেতুর পরিবর্তে একটি স্থায়ী পাকা সেতুর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, আগেও এই জীর্ণ কাঠের সেতুর বিষয়ে বারবার স্থানীয় প্রশাসনের জানানো হয়েছে। মেরামতির দাবিও করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও কোনও লাভ হয়নি। আর সে কারণেই এদিন কার্যত অভিজিৎ দাসের পথ আটকে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের দাবি কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি। এলাকার মানুষ তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের সমস্যার কথা জানার জন্যেই দিদির দূত হয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি। এলাাকার মানুষের সমস্যার যাতে সমাধান হয় সেই চেষ্টা করা হবে।”

Next Article