পূর্ব মেদিনীপুর: গোটা দিন জুড়ে একের পর ঘটনার জেরে আলোচনার কেন্দ্রে রইল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে যুযুধান দুই পক্ষে বৃহস্পতিবার ভোটের পারদ চড়তে যায় সূর্য মধ্যগগণে ওঠার পর। বয়ালের ৭ নম্বর বুথে ছাপ্পার অভিযোগ পেয়ে সশরীরে গিয়ে সেখানে হাজির হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসে থাকেন। একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ফোন করেন রাজ্যপালকে। একই সঙ্গে বয়ালের ওই বুথে ব্যাপক হারে ছাপ্পা ভোট পড়েছে বলে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বয়ালের ৭ নম্বর বুথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন ঘোরানোর পর বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, “আমি কমিশনের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। এখানে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়ে গিয়েছে। এখানকার লোককে ভোট দিতে দেয়নি। সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনে ৬৩ টা অভিযোগ করা হয়েছে। একটা কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আমরা আদালতে যাব। আইনিভাবেও আমরা পদক্ষেপ করব।”
বৃহস্পতিবার ভোট মেটার আগেই অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। নাম না করে অমিত শাহের দিকে তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, উনি নিজে আধাসেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন শুধুমাত্র বিজেপির গুণ্ডাদের সাহায্য করার জন্য। সকাল থেকে বন্দুক নিয়ে বসে রয়েছে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। প্রত্যেকটা মানুষ আমায় নালিশ করছে।”
আরও পড়ুন: ‘ভোটারদের আইকার্ড কেন দেখবে আধাসেনা?’ প্রশ্ন তুলে জৈনকে পত্রবোমা মমতার
একের পর এক অভিযোগ জানানো হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মমতা। হাত জোড় করে তিনি বলেন, “আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু কমিশন শুধু বিজেপির কথা শুনছে।” ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে চিঠি দিয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘ভোটে অশান্তি হচ্ছে’, মমতার নালিশ পেতেই পালটা আশ্বাস ধনখড়ের