মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Mar 27, 2021 | 2:29 PM

যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। উল্লেখ্য, প্রলয় পাল নিজেকে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী হিসাবে দাবি করেছেন।

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার দিনই বাংলার রাজনৈতিক মহলে প্রলয় কাণ্ড তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোন কলের অডিয়ো রেকর্ডকে ঘিরে। তমলুকের প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার আর্জি জানান মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, এমনটাই দাবি। অডিয়ো রেকর্ডিংটি TV9 বাংলার হাতে এসেছে। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। উল্লেখ্য, প্রলয় পাল নিজেকে প্রাক্তন তৃণমূলকর্মী হিসাবে দাবি করেছেন। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, অডিয়ো ক্লিপে যে গলা শোনা যাচ্ছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিনা নিশ্চিত নয়।

তথাকথিত ফোনালাপটি নীচে দেওয়া হল…

মমতা: তুমি অনেক ইয়ং ছেলে। অনেক কাজ কর, আমি জানি সব কিছু।
প্রলয়: হুম…
মমতা: তুমি একটু আমাদের হয়ে কাজ করে দাও না। সাহায্য করে দাও না। তুমি দেখবে কোনও অসুবিধে হবে না।
প্রলয়: কিন্তু দিদি আপনি শুনুন। আমি, আমার পরিবার তো আপনাকে দেখেই রাজনীতি করেছিলাম।
মমতা: আমি জানি সব…
প্রলয়: আপনার আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করেছিলাম। যে দিন আপনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন, যেদিন রেজাল্ট ঘোষণা হয়, পাঁচ দিন ব্রাহ্মণ ডেকে হোম যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। কিন্তু খারাপ লাগে দিদি এত ত্যাগ করার পরও যখন প্রলয় পাল রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পায় না, তখন আর বলার কিছু থাকতে পারে না।
মমতা: এটা কে করেছিল? তোমরা জানো তোমাদের লোকাল লিডার ছিল, সে আমাদের নন্দীগ্রামে যেতে দিত না, নন্দীগ্রামে ঢুকতে দিত না। তাদের একটা জমিদারি ছিল।
প্রলয়: তা বলে দিদি রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাব না?
মমতা: আরে আমি আছি কী করতে!
প্রলয়: আমি তো মার খেয়েছি। আমি তো আপনার মহাদেবের হাতে মার খেয়েছি।
মমতা: আমি সব জানি। আমি পরে শুনেছি। আমি তো আগে এত ডিটেইলসে খবর নিতাম না।
প্রলয়: আমি বেরিয়ে এসেছি দল থেকে। যে দল থেকে বেরিয়ে এসেছি, এখন যে দলটাই করি না কেন, আমি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। আমি প্রাণ দিয়ে, জীবন দিয়ে যে দলটা করি, সেটাই করি।
মমতা: সব ঠিক। তুমি যাদের জন্য করছ, তারা তো কোনওদিন বিজেপি করেনি। এখন যারা করছে, তাদের তুমি বিশ্বাস কর? তারা অনেস্ট?
প্রলয়: আমি নিজেকে অনেস্ট বলে মনে করি। যতদিন দল ঠিক পথে চলবে, দলের সঙ্গে থাকব। দল তো আমাকে জন্ম দেয়নি। যদি কোনও অন্যায় হয়, কেন মানতে যাব?
মমতা: তার মানে যে তোমাদের ওখানে লড়ছে, সে তোমাদের কাছে সৎ?
প্রলয়: দিদি আমি যখন সিপিএমের কাছে অত্যাচারিত হতাম, ওই পরিবার আমার পাশে ছিল। ওই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে সাপোর্ট করি। আমার বাবার সঙ্গে শিশিরবাবুর ৪০ বছরের সম্পর্ক।
মমতা: সেদিন তো আমাদের সাথে ছিল বলে ওরা আমাদের হয়ে করত। আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইটা করতাম।
প্রলয়: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি এত বড় নেতৃত্ব হওয়া সত্ত্বেও আপনি আমার মতো সাধারণ কর্মীকে ফোন করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু দিদি আপনাকে ক্ষমা করবেন।
মমতা: তুমি ভেবে দেখ।
প্রলয়: ওকে দিদি।
মমতা: থ্যাঙ্কু, ভাল থেক।


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ TV9বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেননি। তবে আপাত দৃষ্টিতে তিনি মনে করছেন, মমতা যদি এমন কথা বলে থাকেন, তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। তাঁর মতে, নেত্রী স্থানীয় স্তরের কোনও নেতা ভুল বুঝে অন্য দলে চলে গেলে, তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করতেই পারেন।

পূর্ব মেদিনীপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার দিনই বাংলার রাজনৈতিক মহলে প্রলয় কাণ্ড তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোন কলের অডিয়ো রেকর্ডকে ঘিরে। তমলুকের প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার আর্জি জানান মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়, এমনটাই দাবি। অডিয়ো রেকর্ডিংটি TV9 বাংলার হাতে এসেছে। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। উল্লেখ্য, প্রলয় পাল নিজেকে প্রাক্তন তৃণমূলকর্মী হিসাবে দাবি করেছেন। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, অডিয়ো ক্লিপে যে গলা শোনা যাচ্ছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিনা নিশ্চিত নয়।

তথাকথিত ফোনালাপটি নীচে দেওয়া হল…

মমতা: তুমি অনেক ইয়ং ছেলে। অনেক কাজ কর, আমি জানি সব কিছু।
প্রলয়: হুম…
মমতা: তুমি একটু আমাদের হয়ে কাজ করে দাও না। সাহায্য করে দাও না। তুমি দেখবে কোনও অসুবিধে হবে না।
প্রলয়: কিন্তু দিদি আপনি শুনুন। আমি, আমার পরিবার তো আপনাকে দেখেই রাজনীতি করেছিলাম।
মমতা: আমি জানি সব…
প্রলয়: আপনার আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করেছিলাম। যে দিন আপনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন, যেদিন রেজাল্ট ঘোষণা হয়, পাঁচ দিন ব্রাহ্মণ ডেকে হোম যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। কিন্তু খারাপ লাগে দিদি এত ত্যাগ করার পরও যখন প্রলয় পাল রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পায় না, তখন আর বলার কিছু থাকতে পারে না।
মমতা: এটা কে করেছিল? তোমরা জানো তোমাদের লোকাল লিডার ছিল, সে আমাদের নন্দীগ্রামে যেতে দিত না, নন্দীগ্রামে ঢুকতে দিত না। তাদের একটা জমিদারি ছিল।
প্রলয়: তা বলে দিদি রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাব না?
মমতা: আরে আমি আছি কী করতে!
প্রলয়: আমি তো মার খেয়েছি। আমি তো আপনার মহাদেবের হাতে মার খেয়েছি।
মমতা: আমি সব জানি। আমি পরে শুনেছি। আমি তো আগে এত ডিটেইলসে খবর নিতাম না।
প্রলয়: আমি বেরিয়ে এসেছি দল থেকে। যে দল থেকে বেরিয়ে এসেছি, এখন যে দলটাই করি না কেন, আমি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। আমি প্রাণ দিয়ে, জীবন দিয়ে যে দলটা করি, সেটাই করি।
মমতা: সব ঠিক। তুমি যাদের জন্য করছ, তারা তো কোনওদিন বিজেপি করেনি। এখন যারা করছে, তাদের তুমি বিশ্বাস কর? তারা অনেস্ট?
প্রলয়: আমি নিজেকে অনেস্ট বলে মনে করি। যতদিন দল ঠিক পথে চলবে, দলের সঙ্গে থাকব। দল তো আমাকে জন্ম দেয়নি। যদি কোনও অন্যায় হয়, কেন মানতে যাব?
মমতা: তার মানে যে তোমাদের ওখানে লড়ছে, সে তোমাদের কাছে সৎ?
প্রলয়: দিদি আমি যখন সিপিএমের কাছে অত্যাচারিত হতাম, ওই পরিবার আমার পাশে ছিল। ওই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে সাপোর্ট করি। আমার বাবার সঙ্গে শিশিরবাবুর ৪০ বছরের সম্পর্ক।
মমতা: সেদিন তো আমাদের সাথে ছিল বলে ওরা আমাদের হয়ে করত। আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইটা করতাম।
প্রলয়: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি এত বড় নেতৃত্ব হওয়া সত্ত্বেও আপনি আমার মতো সাধারণ কর্মীকে ফোন করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু দিদি আপনাকে ক্ষমা করবেন।
মমতা: তুমি ভেবে দেখ।
প্রলয়: ওকে দিদি।
মমতা: থ্যাঙ্কু, ভাল থেক।


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ TV9বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেননি। তবে আপাত দৃষ্টিতে তিনি মনে করছেন, মমতা যদি এমন কথা বলে থাকেন, তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। তাঁর মতে, নেত্রী স্থানীয় স্তরের কোনও নেতা ভুল বুঝে অন্য দলে চলে গেলে, তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করতেই পারেন।

Next Article