
কোলাঘাট: সিপিআই (CPI) প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রামপঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল। আকাশে উড়ল লাল-সবুজ আবির। এ দিকে, বাম ওই সদস্যের নামে বিজেপি তুলল ‘চোর-চোর’ স্লোগান। পোড়ানো হল কুশপুতুলও।
উল্লেখ্য, কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রামপঞ্চায়েত কে দখল করবে সেই নিয়ে সেখানকার স্থানীয় মানুষজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা আগে থেকেই জিইয়ে ছিল। কারণ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৫টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল, ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি আর ১টি পেয়েছিল সিপিআই।
অর্থাৎ সিপিআই প্রার্থী অনুপ মাইতি যাকে সমর্থন করবে সেই দল দখল করবে পঞ্চায়েত। ফলত, বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই পৌঁছয় সিপিআই প্রার্থীর কাছে। কিন্তু অনুপ মাইতি প্রথম থেকেই বলে এসেছিলেন দলের উপর মহল যা সিদ্ধান্ত নেবে তিনি সেই পথেই চলবে।
এরপর বুধবার পঞ্চায়েত গঠনের দিন চওড়া হাসি হাসল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কারণ জয়ী সিপিআই সদস্য অনুপ মাইতি সমর্থন নিয়েই পঞ্চায়েত দখল করল তারা। অনুপ মাইতি হলেন উপপ্রধান এবং প্রধান হলে সুস্মিতা দাস।
তবে সিপিআই-এর এই সমর্থনকে ভালভাবে মেনে নেয়নি বিজেপি। তাদের দাবি টাকার বিনিময়ে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ চলছে। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের একাংশ সিপিআই প্রার্থী কুশপুতুল দাহ করে দেখিয়েছেন বিক্ষোভ।
এই বিষয়ে জয়ী সিপিআই প্রার্থী অনুপ মাইতি বলেছেন, “পরিস্থিতি সুন্দর রয়েছে। সকলের সমর্থন রয়েছে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এবং বুথ কমিটির নির্দেশে আমি তৃণমূলকে সমর্থন করেছি।” জয়ী তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা দাস বলেছেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সিপিআই এর সঙ্গে জোট করেছি আমরা।” বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, “উনি পেশায় শিক্ষক। সমাজের উন্নয়নের জন্য ভাল আদর্শই তিনি ছেড়ে গিয়েছেন। এখন ওনারই ভোটার যাঁরা ওকে করেছেন তাঁরাই ওনার কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।”