এগরা: একবার নয়, একাধিকার উচ্চ-নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিলেন যে, প্রার্থী তালিকায় নাম থাকলে নির্দল হয়ে যেন কেউ না দাঁড়ায়। এমনকী মনোনয়ন প্রত্যাহারেরও বার্তা দেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। জেলায়-জেলায় প্রার্থী তালিকায় নাম দেখে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়েছেন নির্দলে। কাজ না হওয়ায় এবার এগরার দুই নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তবে এরপরও মচকাচ্ছেন না তাঁরা।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ১ নম্বর ব্লকের পাঁচরোল অঞ্চলে তৃণমূলের তরফে একটি নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিজন বিহারী সাহু,পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অশোক দাস,অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি শেখ মুক্তাজুল,মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মানসী দে সহ অন্যান্যরা। এ দিনের, এই সভা থেকেই বহিষ্কার করা হয় শঙ্কর মিশ্র ও অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটির নেতৃত্ব আশীস মাহাপাত্রকে। তাঁরা উভয়ই নির্দলে দাঁড়িয়েছিলে।
তবে এরপরও ভেঙে পড়েননি বিক্ষুব্ধরা। বটগাছ চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীদের দিকে। পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অশোক দাস বলেন, “জিতব আমরাই। আসলে সাগরদিঘি মডেল করতে চাইছেন নির্দলরা। কিন্তু তা হবে না। এখানে উন্নয়ন হয়েছে। তার ভিত্তিতেই জিতব।” যদিও,বিক্ষুব্ধ প্রার্থী শঙ্কর মিশ্র বলেন, “এর আগে ২০১৮ সালে আমি যখন তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলাম তখন এই বটগাছ চিহ্নে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন কর্মাধ্যক্ষা মানষী দে-র বাবা নারায়ণ চন্দ্র মাইতি। উনি ১৭টি সিটে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেইদিন তো কেউ বহিষ্কার করেনি। একপেশে সিদ্ধান্ত।”