Purba Medinipur: দিঘা এবার পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয়, নিউ দিঘার পথে চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা
Digha: গত কয়েক বছরে দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।
কলকাতা: দিঘায় ১২ একর জমিতে নতুন চিড়িয়াখানা করার পরিকল্পনা নিল বন দফতর। দিঘা স্টেশনকে পিছনে ফেলে নিউ দিঘার দিকে যেতে বেশ কিছুটা ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানেই এই চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর। আপাতত কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বা জু অথরিটির অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা করছে রাজ্য সরকার। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে দিঘাকে। জু অথরিটির অনুমোদন পাওয়ার পরই বাঘ, সিংহ, জেব্রা, জিরাফ আনা হবে। সঙ্গে ছোট একটা ক্লিনিক, রেস্তোরাঁ তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে রাজ্যের।
গত কয়েক বছরে দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের আদলে দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। নিউ দিঘা স্টেশন লাগোয়া ভোগীব্রহ্মপুর মৌজার বিস্তীর্ণ উঁচু বালিয়াড়ির ওপর গড়ে উঠছে এই জগন্নাথধাম। তৈরি হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। উচ্চতাও হবে পুরীর মন্দিরের সমান। গোটা এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দেওয়া হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে মন্দিরের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর হিডকোর তদারকিতে শুরু হয়েছিল সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ। ডিসেম্বরে ১২৮ কোটি টাকার পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বেড়ে ২০০ কোটি হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে নিউটাউনের হরিণালয়কে বড় চিড়িয়াখানা করার ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই পাখির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও চারটি জিরাফ, জেব্রা আনা হবে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় জু অথরিটির অনুমতি পাওয়া গেলে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্ল্যাক প্যানথার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সঙ্গে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রাখার কথাও ভাবা হয়েছে।
ছোটবড় মিলিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে ১২টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। কলকাতার জু’লজিকাল গার্ডেন। যা আলিপুর চিড়িয়াখানা হিসাবেই পরিচিত। এছাড়া দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, ঝড়খালি, বর্ধমান, কোচবিহার, পুরুলিয়া, হাওড়া, মালদহ, দক্ষিণ খড়িবাড়ি, নিউটাউনেও রয়েছে জু ও মিনি জু।