Purba Medinipur: তৃণমূলের ব্লক কমিটির পর এবার শহর-যুব কমিটির তালিকাতেও সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম?
Purba Medinipur: বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে মুখ খুলেছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।
পূর্ব মেদিনীপুর: এগরা (Egra) শহরের যুব সভাপতি মণ্ডলীতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে এগরা বিধানসভা এলাকায়। কিছুদিন আগে এগরা বিধানসভার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের পরিচালন কমিটি ঘোষণা হয়। সেখানে দেখা যায় এগরা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এগরা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর নাম রয়েছে তালিকায়। যা নিয়ে বিজেপির তীব্র খোঁচাও খেতে হয়েছে শাসকদলকে। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অভিযোগ। এবার এগরা শহর যুব তৃণমূল সভাপতি কৌস্তভ দাসের লেটার হেডে নতুন পরিচালন কমিটির তালিকা সামনে এসেছে। সেই তালিকায় ১৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই ৬ নম্বর স্থানে প্রদীপ বারিক বলে একজনের নাম রয়েছে। যদিও এ নিয়ে কৌস্তভ দাসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে মুখ খুলেছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।
সূত্রের খবর, প্রদীপ এগরা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবেই কাজ করেন। এদিকে ১৭ এপ্রিল এগরা শহর যুব তৃণমূলের যে ওয়ার্ড সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ হয়, সেখানে প্রদীপ বারিকের নাম দেখা যায়। যা নিয়ে শুরু আবারও বিতর্ক। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও এগরার বিধায়ক এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। যুবর বিষয়ে কথা বলতে নারাজ তাঁরা। তবে বিরোধীরা এই তালিকা নিয়ে সরব।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “আমরা বলেছিলাম তৃণমূলের সঙ্গে লোক নেই। তাই পুলিশের ভরসায় পার্টি চালাচ্ছে। এগরার যুব তৃণমূলের তালিকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম আমাদের অভিযোগ স্পষ্ট করে দিল।” এগরা লোকাল কমিটির সভাপতি (ডিওয়াইএফআই) সৌম্য দাসের বক্তব্য, “সিভিক ভলান্টিয়ারকেও ওরা কাজে লাগাচ্ছে টাকা তোলার জন্য। মানুষকে হয়রান করার জন্য। আসলে সিভিক দিয়ে লেঠেল বাহিনী তৈরি করে পঞ্চায়েত লুঠ করার চেষ্টা করছে শাসকদল তৃণমূল।” এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন,” রাজনীতির কোনও কাজে আমাদের লোকের যোগ থাকবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, “দলীয় কাজে কোনওভাবেই প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কাউকে রাখা যায় না। আর যে তালিকার কথা বলা হচ্ছে, সেই তালিকা স্বীকৃতি পায়নি। আমার কাছে মঞ্জুরির জন্যও আসেনি। আর যদি এমন হয়ে থাকে তা হলে দলীয় আইন মেনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে সবার আগে কী ঘটেছে সেটা দেখতে হবে।” এ বিষয়ে পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন,” রাজনীতির কোনও কাজে আমাদের লোকের যোগ থাকবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”