AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার শিবিরের সামনে ‘কমপ্ল্যান বক্স’, অভিযোগ নিজে দেখলেন জেলাশাসক

Purba Medinipur: ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে এবারের দুয়ারে সরকারে। ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের পরিষেবা প্রদান করা হবে।

Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার শিবিরের সামনে 'কমপ্ল্যান বক্স', অভিযোগ নিজে দেখলেন জেলাশাসক
পূর্ব মেদিনীপুরে দুয়ারে সরকার। ডানদিকে অভিযোগের বাক্স।
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 10:15 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: শনিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar)। ৩৩টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে এই শিবির থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরে আবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়তি পদক্ষেপ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের শিবিরে নয়া উদ্যোগ ‘কমপ্লেন বক্স ‘। সেখানে অভিযোগ জমা পড়লে দ্রুত তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করাও হয়েছে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যাতে সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পান, তার জন্য ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্যের ২৩টি জেলায়।

শুরুর দিন থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জেলার বিভিন্ন শিবির ঘুরে দেখেন। শিবিরের আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে জেলায় একটি অভিযোগ ও মন্তব্য প্রদানের জন্য বাক্স রাখা হয়েছে। সেই বাক্সে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ যেমন জমা করছেন তেমনি তাঁদের মন্তব্যও লিখে জমা দিচ্ছেন।

এদিন তাম্রলিপ্ত পুরসভার দুয়ারে সরকার শিবিরে ঢুকেই প্রথমে অভিযোগ বাক্স খুলে দেখেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নীলা মাভৈ রায়-সহ অন্যান্যরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার প্রথমদিনই ৮২৯টি শিবিরে মানুষের উপস্থিতি ছিল ২২ হাজারেরও বেশি। আর আবেদন জমা পড়েছে ১৯ হাজারের কিছু বেশি। তার মধ্যে বেশিরভাগ আবেদন বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং কৃষক বন্ধুর জন্য। জেলাজুড়ে সারাদিনে মোট ৬২টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “অধিকাংশ অভিযোগ এসেছে আগের দুয়ারে সরকারে আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগকারীদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথি না থাকার কারণে তাঁদের প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই প্রয়োজনীয় নথি যাতে তাঁরা দ্রুত জমা করেন এবং সেই সমস্ত নথি যাতে তাঁরা সরকারি অফিস থেকে পান তারও ব্যবস্থা আমরা করেছি।” ফলে জেলায় দুয়ারে সরকারে একদিকে যেমন বিভিন্ন আবেদন গ্রহণ করে পরিষেবা দেওয়া হবে, অন্যদিকে মানুষের অভিযোগ ও পরামর্শের দিকেও নজর রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে এবারের দুয়ারে সরকারে। ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের পরিষেবা প্রদান করা হবে। সরকার চেষ্টা করছে গ্রাম বাংলার প্রতি বুথেই এই ক্যাম্প পৌঁছে দিতে। জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিডিও, এসডিও,জেলাশাসক দফতরে থাকছে এই ক্যাম্প।