পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে (Nandigram) দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেতা শেখ সুপিয়ানের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার নন্দীগ্রামে রক্তদান শিবিরে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে এখানে শেখ সুপিয়ান (Sk Supian) টাকা তুলেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাদের এখন রাস্তায় দেখলেই লোকজন বলছেন, পার্থ-অনুব্রত যাচ্ছে। তাতে চটে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা শুভেন্দু বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন শেখ সুপিয়ান। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সাল পর্যন্ত সব দায়িত্ব এখানে শুভেন্দুরই ছিল। বাকি কেউ কোনওকিছুতে ঢুকতেই পারেননি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ইডির তদন্তাধীন বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে শান্তনুর মতো দালাল সব জায়গায় আছে। এই নন্দীগ্রামে শেখ সুপিয়ান কত লোকের টাকা তুলেছে। কিছু লোকের চাকরি বিক্রিও করেছে, কিছু তুলেছে। এসব দালাল সর্বত্র আছে। তৃণমূল মানেই চোর। এখন বাজারে যে যাচ্ছে, তৃণমূলের লোক দেখলেই বলছে পার্থ যাচ্ছে, কেষ্ট যাচ্ছে। ওরা রেগে যাচ্ছে। কুন্তল যাচ্ছে, শান্তনু যাচ্ছে বললে রেগে যাচ্ছে তৃণমূল। মহিলা নেত্রীদের দেখলে বলছে অর্পিতা যাচ্ছে।”
যদিও পাল্টা শেখ সুপিয়ান বলেন, “প্রমাণ করে দিক না আমি ৫ টাকা কারও কাছ থেকে নিয়েছি। সংবাদমাধ্যমে এসব মিথ্যা বলে লাভ নেই। তবে শুভেন্দু অধিকারী যখন মন্ত্রী ছিলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত, তখন কিন্তু জেলায় অন্য কারও নাক গলানোর ক্ষমতা ছিল না। যত চাকরি দিয়েছে টাকা নিয়ে, যত তোলাবাজি করেছে, হলদিয়া কলকারখানা থেকে টাকা নিয়েছে, জেলা পরিষদ থেকে টাকা নিয়েছে, সেটা শুভেন্দু অধিকারী। চোরের মায়ের আবার বড় গলা। নিজের চুরি ঢাকতে অন্যের নামে বদনাম শুরু করেছে। আসলে এটাই শুভেন্দু অধিকারীর চরিত্র। এটা সকলেই জানে।”