Nandakumar: হাইকোর্টে আবেদন খারিজ, চঞ্চল নন্দীকে তলব নন্দকুমার পুলিশের
Purba Medinipur: নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ ঝা জানান, অনীশ ঘোষের বক্তব্যে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই চঞ্চল নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল।
পূর্ব মেদিনীপুর: টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় চঞ্চল নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল নন্দকুমার (Nandakumar Police) থানার পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ এবং জলপথ দফতরে একটি টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সেচ বিভাগের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অনীশ ঘোষকে মাস দু’য়েক আগে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। ২৫ মার্চ গ্রেফতার হন তিনি। সম্প্রতি জামিনও পান। নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ ঝা জানান, অনীশ ঘোষের বক্তব্যে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই চঞ্চল নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে কোটি টাকার টেন্ডার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলা চলছে এখনও। এই ঘটনায় চঞ্চল নন্দীর দিকেও অভিযোগের আঙুল রয়েছে। শোনা যায়, এই চঞ্চল নন্দী রাজ্য বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতার ‘সাগরেদ’।
এ নিয়ে চঞ্চল নন্দী নিজেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর আশঙ্কা, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে। যদিও হাইকোর্ট সেই মামলাটি খারিজ করে দেয় এবং নির্দেশ দেয় সপ্তাহে দু’দিন তাঁকে ২ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
সেই অনুযায়ী নন্দকুমার থানা থেকে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়, শনিবার তাঁকে নন্দকুমার থানায় আসতে হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেইমতো চঞ্চল নন্দী শুক্রবার দুপুর নাগাদ নন্দকুমার থানায় এসে পৌঁছন। এদিন চঞ্চল নন্দী অবশ্য বলেন, তিনি পুরসভার একজন কর্মী। টেন্ডার সংক্রান্ত কোনও বিষয়ের সঙ্গে তিনি যুক্তই নন।
তবে সেচ বিভাগের একাধিক টেন্ডারের বরাত মোটা টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল ইঞ্জিনিয়ার অনীশ ঘোষের নামে। নন্দকুমার ব্লকের কোলসর এলাকার সুনীল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নন্দকুমার থানায় এ নিয়ে অনীশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুরু হয় তদন্ত। তাতেই নাম জড়ায় চঞ্চল নন্দীর।
