
পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথির (Contai) রাঙামাটি শ্মশান স্টল দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার তলব তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রশাসককে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন পুরপ্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে বৃহস্পতিবার কাঁথি থানায় ডাকা হয়। যদিও তিনি জানিয়েছেন, অন্য একটি বিষয়ে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার রাঙামাটি শ্মশান স্টল দুর্নীতি মামলায় তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। এর আগে এই ঘটনায় কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীকেও ডাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এবার কাঁথির প্রাক্তন পুরপ্রশাসককেও জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানের বাস্তুর চরিত্র বদল করে শ্মশানের জমিতে স্টল তৈরি করার অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে অভিযোগ ওঠে, সেই স্টল লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হলেও টাকা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ কাঁথি থানায় এসে হাজির হন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। প্রায় আড়াইতে অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরপর তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যান বলে সূত্রের খবর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সময় উপস্থিত ছিলেন কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস।
২০২২ সালের ২৯ জুন কাঁথি রাঙামাটি শ্মশান স্টল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বর্তমান পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্না। এই অভিযোগে পুলিশ আগে কাঁথি পুরসভার দুই ইঞ্জিনিয়র দিলীপ চৌহান, দিলীপ বেরা, গোপাল সিং, ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে। যদিও পরে তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত বলে সূত্রের খবর।
সিদ্ধার্থ মাইতিকে তলব প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “রাঙামাটি স্টল কাণ্ডে সৌমেন্দু অধিকারী প্রশাসক পদ ছাড়ার পর উনি বসেছিলেন চেয়ারে। ওনার সময়ে রিনিউয়াল হয়েছিল। তাই সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয় ওনার থেকে। এর থেকে বেশি কিছু নয়।” অন্যদিকে সিদ্ধার্থ মাইতি বলেন, “অন্য ব্যাপারে কথা ছিল। রাঙামাটি শ্মশান স্টল নিয়ে কোনও কথা হয়নি।”