TMC: ‘সরকারি ঘর তৈরিতে টাকা দিতে হয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে’, এলাকায় পড়ল পোস্টার

Egra: স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে 'দাদার অনুগামী' হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল এই জয়ন্তর। পরে পুরভোটের সময় এগরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হন তিনি।

TMC: সরকারি ঘর তৈরিতে টাকা দিতে হয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে, এলাকায় পড়ল পোস্টার
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্টার।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 01, 2023 | 3:16 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। পোস্টার পড়ল এগরা (Egra Municipality) পুর এলাকার কাউন্সিলর জয়ন্ত সাউয়ের নামে। সোমবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ‘দাদার অনুগামী’ হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল এই জয়ন্তর। পরে পুরভোটের সময় এগরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হন তিনি। সেই জয়ন্ত সাউয়ের নামে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল এলাকায়। যদিও জয়ন্ত সাউ জানান, তিনি জেতার পর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি সকলকে নিয়ে চলতে ভালবাসেন। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এসব করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে বিজেপির দাবি, জায়গায় জায়গায় তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। এটাও সেই গোষ্ঠীকোন্দলেরই ফল।

দিন যে পোস্টারটি পড়েছে তাতে লেখা আছে, ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে ঘর পেতে গেলে টাকা দিতে হচ্ছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘যাদের বাড়ির দরকার বাড়ি পেতে চাইলে ৩০০০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যারা ৩০০ স্কোয়ার ফুটের বাড়ি করতে চায় তাদের ৪০০০০ টাকা। যাদের পাকা বাড়ি আছে একতলা, তাদের ৫০০০০ টাকা। যাদের দোতলা বা তিনতলা বাড়ি তাদের ১০০০০০ টাকা বেআইনিভাবে দিতে হচ্ছে। কাউন্সিলর জয়ন্ত সাউয়ের তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে একজোট হন।’

এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর জয়ন্ত সাউ বলেন, “এখানে আমি আমি নেই। আমরা সকলে মিলে কাজ করি এই ওয়ার্ডে। আগে কী হতো জানি না, এখন গোটা ওয়ার্ড ঘুরে দেখুন কী কাজ হয়েছে। আমি সকলকে বাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন কে কোথায় কী বলল, তা কী করে বলব। কালিমালিপ্ত করা যাদের কাজ করছে।”

এগরা বিজেপি নগর মণ্ডল সভাপতি চন্দন মাইতির বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতাদের নামে এই যে কাটমানি নেওয়ার পোস্টার তা শুধু এগরার ১২ নম্বর ওয়ার্ডেই নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই পড়ছে। এরা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নামে পোস্টার পড়েছে তা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ। আগে ভাগ দিত, এখন দিচ্ছে না। তাই ওদের দলের লোকেরা পোস্টার ছড়াচ্ছে ওয়ার্ডজুড়ে।”