
শুভজিৎ মিত্র
দিঘা: বেশ কয়েকদিন ধরেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাত পোহালেই উদ্বোধন! দিঘায় এসে গিয়েছেন জগন্নাথ। এখন দিঘার যেদিকেই কানা পাতা যায় সেদিকেই শুধু, জয় জগন্নাথ নাম! উকএন্ডে যে দিঘা ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন ছিল সেই দিঘার চরিত্রই এবার বদলে যাচ্ছে? সমুদ্রের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দিঘার মায়া আরও বাড়বে জগন্নাথের হাত ধরে? তৃণমূলের সাংসদ জুন মালিয়া যদিও মনে করছেন, এটা পুরোটাই উপরি পাওনা। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষরা এমনিই আধ্যাত্মিক! এখানে চৈতন্যদেবের জন্ম হয়েছে। তাই দিঘায় জগন্নাথ এলে দিঘার ব্যাপ্তি আরও বাড়বে।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগেই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন জুন। ঘুরে দেখেন গোটা মন্দির। নিজেই জানালেন সে কথা। মন্দির দেখে আপ্লুল জুন। এমনকী পুজো যাতে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে হয়, জগন্নাথের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যাতে সব নিয়ম মানা হয় তার জন্য পুরী থেকেও প্রধান পুরোহিতরা আসছেন। বলছেন জুন। জুনের কথায়, “কোনও ক্রুটি যাতে এখানে থাকে সে জন্য বিগত কয়েকদিন ধরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিতরা এসে এখানে যজ্ঞ করছেন। আজ মহাযজ্ঞ। নিষ্ঠার সঙ্গেই এখানে জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। আমার মনে হয় মন্দির নিয়ে দিঘার সবাই খুব এক্সসাইটেড। পর্যটন বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে। এর জন্য অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে হবে।”
কিন্তু, মন্দিরের হাত ধরেই কি দিঘার চেনা চরিত্রটা বদলাবে? জুন বলছেন, “বাংলার মানুষরা এমনিই আধ্যাত্মিক! এখানে চৈতন্যদেবের জন্ম হয়েছে। সেখানে কালকে দিঘায় ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হতে চলেছে। দিঘা এমনিই সুন্দর, মধ্যবিত্ত বাঙালির হানিমুন স্পষ্ট, সেখানে এই মন্দির নতুন সংযোজন। ফলে যাঁরা নতুন বিয়ে করে এখানে আসবে তাঁরা শুধু হানিমুনই করতে আসবে না, জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ নিয়ে যেতে পারবে।” প্রসঙ্গত, মন্দির উদ্বোধনের কথা মাথায় রেখে বিগত কয়েক মাস ধরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিঘা। সিসিটিভি নজরদারি থেকে নাকা চেকিং, সবই চলছে জোরকদমে।