Purba Medinipur: মা মরতেই গোটা পরিবার একঘরে, উপায় না পেয়ে হাইকোর্টে অসহায় মনোরঞ্জন

Purba Medinipur: মনোরঞ্জন খাঁড়া বলছেন, আমাদের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সব কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

Purba Medinipur: মা মরতেই গোটা পরিবার একঘরে, উপায় না পেয়ে হাইকোর্টে অসহায় মনোরঞ্জন
এখনও কাটছে না চিন্তা Image Credit source: TV-9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 30, 2023 | 3:59 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: অগস্টে মৃত্যু বৃদ্ধার। তারপর থেকেই তাঁর পরিবারকে একঘরে করে দিয়েছে গোটা গ্রাম। এমনকী প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে গ্রামের মাতব্বরদের দাবি, মৃত্যুর আগে বৃদ্ধাকে দেখেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। খেতেও দেওয়া হত না ঠিকমতো। অন্যদিকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চাওয়া হচ্ছে আড়াই বিঘা জমি। এমনকি ইলেকট্রিক লাইন, জলের পাইপও কেটে দেয় গ্রামবাসীরা। হাটবাজার যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের নরাজপুর গ্রামে। 

নরাজপুর গ্রামের মনোরঞ্জন খাঁড়া নামের এক ব্যক্তির পরিবারকে পুরো গ্রামবাসী মিলে বয়কট করেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে গোটা গ্রাম। মনোরঞ্জন খাঁড়া বলছেন, আমাদের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সব কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অবশ্য তাঁর পক্ষেই গিয়েছে। তিনমাসের জন্য তাঁর বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার আবার এই বিষয় নিয়ে কেউটগেড়িয়ায় দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং এগরা থানার আইসির উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই আলোচনায় উভয়ই প্রশাসনের কথা মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান আলোক মহাপাত্র জানাচ্ছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সুরাহা হয়ে যাবে।